মালবিকা ,
যখনই আকাশে  মেঘ ডাকে , বিজলী ঝলকায় ;
মনে পরে তোমার সেদিনের অহংকারি –
বিদ্রুপ আর ব্যঙ্গের চমকমাখা মুখটা ।
মন পাগল করা সেই মেঘলা সন্ধ্যায় ,
তোমাকে শেষবার স্পর্শ করেছিলাম ,
শেষবার বলেছিলাম –‘তুমি অপরূপা’ ।
তুমি যখন জানালে, তোমার চরম সিদ্ধান্ত –
বড়লোকের বিদেশবাসী পুত্রের সাথে সত্বর  বিবাহ ;
আমার কবিতা , ভালবাসার অঙ্গীকার –    
প্রত্যাখাত হল  নিমেষের ফুৎকারে , বিদ্রুপের উল্লাসে ।
আমার নীলরঙা স্বপ্নগুলো যখন -
কুচিকুচি করে উড়িয়ে দিলে , নদীর জলে ;
আমার মনটাও ভেঙ্গে টুকরো হয়ে –
ছড়িয়ে গেছিলো ঐ নদীর পাড়ে ,
ওখানেই শুয়ে ছিল অনেকদিন কর্দমাক্ত হয়ে ।


মালবিকা ,
অনেকদিন পরে , নেহাৎ বাঁচার প্রয়োজনে ,
খুঁজে খুঁজে টুকরোগুলো  জুড়েছি সন্তর্পনে ।
জোড়গুলো এখনো বাঁকাচোরা অমসৃন ,
কোন কোনখানে তীক্ষ্ণ , ধারালো ;
প্রায়শঃ রক্ত ঝরায় অনিচ্ছাকৃত আঘাতে -
আত্মার অন্তরে , মনের গভীরে গোপন অন্ধকারে ।
অপেক্ষায় আছি হয়তো কোনদিন ,
ধারালো জোড়গলো সমতল হবে , সময়ের স্রোতে !
আবার কবিতা লিখবো, অন্তরে বিনা রক্তপাতে ।।


                       -অকবি-