(1)
যখনি বাসেতে চড়ি ,
নানারকম ভুঁড়ির চাপে ,পিষ্ট হয়ে মরি ।
বপুর  অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ,
ভুঁড়ির পাঁচালী পড়ি ।
            (2 -পয়ার পাঁচালীর সুরে )
এসো এসো শুন সবে কথা মন দিয়া ,
ভুঁড়ির পাঁচালী শুন দশের মঙ্গল লাগিয়া ;
ভীম ও কুম্ভকর্ণের বপুর বর্ণনা শুনেছো সকলে ,
উদর -পুরাণের কথা শুনিবে একালে ।
ছোট বড় আকৃতি দেখে কোরনা বিচার ,
বপুতেই  জমা হয়  বাঁচার আহার ।
সর্বদা ভুঁড়িকে করিবে সন্মান ,
ভুঁড়ির বাহার তো ঈশ্বরেরই দান ।
শোনা এবার উদর-কথা ,জুড়িয়ে যাবে প্রাণ ।
                      (3)
রাস্তাঘাটে চোখে পরে ,   নানারকম ভুঁড়ির বাহার ,
কোনটা ছোট্ট টিলা , কোনটা বিশাল পাহাড় ।
কারোটা নেয়াপাতি , কারো আবার ফুলকো লুচি ,
কোন ভুঁড়ি ঢাকের মত , অনেক আগে চলে ;
কোনটা আবার দুধে-ভাতে ধীরে ধীরে ফোলে ।
মেসোর বপু নাদুস - নুদুস ,কুর্তা ঢাকা একটি ফানুস ;
মাসির ভুঁড়ি থাপুস -থুপুস , চলতে ফিরতে বেদম হাপুস ।
পাশের বাড়ির নন্দ খুড়োর , ভুঁড়িটা চালকুমড়ো ;
যত্ন করে তেল মাখিয়ে , খুড়ো অতি যত্নে রাখে ।
ওপাড়ার হালুম পিসে , তার ভুঁড়িটা হাওয়ায় ভাসে ;
পিসে যখন হাসে -
পেটটা তখন নাচতে থাকে ,হাসির তালে তালে ।
পিসে যখন আসন পেতে , ভাতের পাহাড় চড়ে ,
ভুঁড়িটা  তার আয়েস কোরে ভূমি স্পর্শ করে ।
ছোট্ট ভূতোর বাচ্চা ভুঁড়ি , যেন ঘাসের ডগায় পদ্মকুঁড়ি ;
ভুঁড়ির কথা ভূরি ভূরি , ভাবলেই পেটে শুড়শুড়ি ;
সবের শেষে একটা প্রশ্ন করি ,
যদি কখনো মাসি-মেসোর লড়াই শুরু হয় ,
   দুই ভুঁড়ির সংঘাতে ভূমিকম্প হয় !
     কে জিতবে , কে হারবে -
    পরিণাম  ভাবতে গিয়ে হৃতকম্প হয় ।
(4-পয়ার পাঁচালীর সুরে )
ভুলোনা -ভুঁড়ির  শক্তি  অসীম ও  অশেষ ,
জিমে গিয়ে প্রচেষ্টা কোরনা, ভুঁড়ি করতে শেষ ;
ভুঁড়ি কখনো হবেনা নিঃশ্বেষ ,
যতই চেষ্টা করো ,  রয়ে যাবে ভুঁড়ির ধ্বংসাবশেষ  ;
আপাততঃ  ভক্তিভরে প্রণাম করে -
ভুঁড়ির পাঁচালী শেষ ।।
                                -অকবি -