সেদিন  শেষ বিকেলের নরম আলোয় ,
রাস্তাঘাটে চলন্ত জীবন ,
ঘরমুখো ভিড় হন্তদন্ত তখন -
মেঘলা নীল আকাশটা দিনশেষে  একটু ক্লান্ত ।
এক শ্যামাঙ্গী তরুণী ,  ব্যস্ত  রাস্তার মোড়ে -
উদাস অশ্রুসিক্ত চোখে ,
অস্তগামী দিবাকরকে প্রণাম জানায় ;
ছুটন্ত ও জীবন্ত জীবনকে নমস্কার করে ।
ক্রন্দসী মেয়েটি দুহাতে মুখ ঢেকে ,
কান্নার জোয়ার আড়াল করে , ত্রস্ত  হাতে   দ্রুত নির্বস্ত্র হয় ;
কিছু মানুষ মজা পায় , অনেকে আবার পালিয়ে -
দ্রুতপায়ে ঘরমুখো হয় ।


মেয়েটি একটা বাহারি লাইট-পোস্টের বংকিম বাহুতে ,
সস্তা ছেঁড়া শাড়িটি ভাল করে বাঁধে ,
তারপর তরিৎ গতিতে উপরে চড়ে -
গলায় ফাঁস বেধে ঝুলে পরে ।
কয়েক মিনিট থরথরিয়ে , নিথর নিস্পন্দ  হয় ।
ওর চোখ-ভরা ক্লান্ত অভিযোগ  ও স্বপ্নগুলো ,
ডানা মেলে উড়ে গেল , অভাগীর স্বর্গের পানে ।
রাস্তার ছুটন্ত জীবন ,
দুরন্ত গতিতে এগিয়ে চলে  অধরা সুখের খোঁজে ,
অজানা দিশাহীন ঠিকানার পানে ।
শহরের সুসভ্য মানুষের উন্মত্ত  ভিড়ে,
সবার  অজান্তে , একাকী মেয়েটি ভেসে গেল ;
শ্বেত চক্রবাকের পিঠে , অভাগীর স্বর্গের পথে ।।


( এটি কলকাতার ভিড়ে ভরা রাস্তার এক সত্য ঘটনার ভিত্তিতে লেখা )
                                                           -অকবি -