মাঝবয়সি বড়বাবু মানুষটি নয় মন্দ ,
যদিও তিনি সদাই থাকেন ত্রস্ত এবং ব্যাস্ত ;
কোন বাক্য বড়বাবু বলেননা যে আস্ত ,
কারণ তিনি, সদাই  ব্যাতিব্যাস্ত ।
কোন কিছু ধরলে উনি রাখেন না যে আস্ত ,
বাবুসোনা  বাপের থেকে দূরে থাকে শতহস্ত ।
বাবার ভয়ে ,পড়া নিয়ে ভীষণ থাকে  ব্যস্ত ,
বইয়ের নীচে  লুকিয়ে থাকা কমিকেরা -
হাসতে হাসতে  হয় যে প্রায় অসুস্থ !


বড়বাবুর গিন্নি অতি স্বাস্থ্যবতী ভারি ,
চলতে ফিরতে সদাই তার হয়ে যায় যে দেরি ।
রোজ সকালে অফিস যেতে বড়বাবুর লেট ,
বাচ্চা কেরানিদের কাছে ,মাথা যে হয় হেঁট ।
অফিস ফেরত বড়বাবু ফেরেন বাড়ি গটগট ,
মাথা গরম রাগের চোটে , চোখ দুটো লাল কটমট ।
গিন্নি আসেন চা-টা নিয়ে করতে তাকে ঠাণ্ডা ,
বড়বাবু রাগ দেখিয়ে হাতে তোলেন ডান্ডা ।
প্রাণ বাঁচাতে গিন্নি মারেন আদুরে এক ধাক্কা ,
বড়বাবু উল্টে পরেন ,  ভাঙে   কোমড় পলকা ।
ব্যথার চোটে ওঠেন কেঁদে , সামনে দেখে নিজের মরণ ,
মুচকি হেসে , ফুঁপিয়ে কেঁদে গিন্নি দিলেন চুম্বন ,  
  বাক্যহারা বড়বাবুর থেমে গেল  ক্রন্দন  ।।
                                    -অকবি -