আমরা অসভ্য চরিত্রহীন মানুষ ,
মনুষ্যত্ব একদম হাওয়াভরা ফানুস ।
রাস্তাঘাটে, বাসেট্রামে মেয়ের খোঁজে ঘুরি ,
দেখা পেলেই ড্যাবডেবিয়ে চক্ষু-ভক্ষণ করি ।
কখনো সুযোগ পেলে , শরীর ঘেঁষে পরশের শিহরণ ,
সীমিত অবসরে টুকরো সুখের আহরণ ।
আমাদের দেখে চেনা দায় ,
পুরোপুরি ভদ্দরলোকের পোশাকে -
কখনো বাবা , দাদা বা দাদুর চামড়া গায়ে !
আমরা শরৎবাবুর কুলিন পুরুষের বংশজ,
সমাজের ঐতিহাসিক ঐতিহ্য ;
তোমাদের শুঁচিবাই আইনে ,
মেয়েদের মাথায় তোলার আতিশয্য -
এমন আইন বড়ই অসহ্য ।
আমরা সুপুষ্ট শরীরের হ্যাঁঙলা কাঙাল ,
বোকারা আমাদের পাড়ে গাল -
বলে আমরা নাকি ,সমাজের জঞ্জাল ।
লজ্জা পাইনে আমরা ,
একটু সাবধান হয়েছি আজকাল ;
চেহারা ঢাকতে, চোখে কালো চশমা পরি ,
নরম গরম শরীরটাকে চূড়ান্ত ভোগ করে ;
সুন্দর উষ্ণ লোভনীয় দেহটাকে,
নীরব নিঃশব্দ প্রাণহীন করি ;
যাতে ঐ সুন্দর মুখে -
অবিশ্বাস আর ঘৃণার কাহিনী কেউ শুনতে না পায় ।
শেষে লুটিয়ে পড়ি ,কোন শক্তিধর দাদার পায়ে ;
তারপর আর ভয় নেই, নিঃশ্চিন্ত ।
দু-চারদিন হৈচৈ , সংবাদের শিরোনাম ,
দাদা আর নেতারাসব আমার দলে, ডান কিংবা বাম ।
তারপর সব চুপ , সবাই ভুলে যায় মেয়েটার নাম ।।
- অকবি -