এ পাড়ার  নান্টু ছিল এক নম্বর বখাটে ,
আড্ডা মারে সারাদিন  রাস্তাঘাটে ;
সন্ধ্যা হলেই দল বেঁধে বাবা তরলানন্দ ,
রাতের বেলা -
একদল কুকুরের উষ্ণতা ভাগ করে   ,
সুখের শয়ন   ফুটপাথে ।
দুর্গা , কালী , লক্ষ্মী , গণেশ -
সব পূজোতেই  চাঁদা তুলে -
উল্লসিত ফুর্তির বারোয়ারি আনন্দ ।


হঠাৎ নান্টুর বুদ্ধি হল ,
রঙ বদলে শাসক দলের নেতা হল  ;
এ পাড়ার  নান্টু ছোঁড়া -
হাতে বালা গলায় মালা পরে ,
নান্টুবাবু এলাকার দাদা  হল ।
দাদার নামে বেশ কিছু  মামলা হল ,
স্বল্প সময়ে ওনার বাড়ি এলো ,  গাড়ি এলো ।


সেদিন রাতে -
দাদার চকমকে বিশাল গাড়ি ,
রাস্তায়  দাঁড়িয়ে -আহামরি ।
পাড়ার আদরের কুকুরগুলো - লালু ও ভুলু ,
পায়চারি করে রাস্তায় , চোখ ঢুলুঢুলু ।
দেখে দাদার চকচকে গাড়ি ,
লালু ভুলুর আনন্দ হল ভারি ।
বিলাতি গাড়ির শরীরে ,
দুজনে একসাথে-
পিছুপা তুলে জল দিল ছাড়ি ।
এমন বেয়াদবি কান্ড দেখে ,
নান্টুবাবুর গুস্সা হল ভারি ;
লালু ভুলুর পেটের ওপর ,
চড়িয়ে দিল গাড়ি ।


লালু ভুলুর কাতর আর্তনাদ ,
নান্টু বাবুদের নেশা হল বরবাদ ।
রাতভর কেঁউ কেঁউ কেঁউ
বাঁচাতে এলোনা কেউ ।
কান্না ভরা অসহায় ওরা বলে গেল ,
হায় রে মানুষ , তোদের দুর্ভাগ্য ,
তোরা পারিস না ভাগ করে নিতে সৌভাগ্য ।
আমরা চেয়েছিলাম -
ভাগ করে নিতে তোদের আনন্দসুখ ,
যেমন আমরা ভাগ করেছি আমাদের উষ্ণতা ,
ফুটপাতের বাসিন্দাদের সাথে ,
অনেক হাড় কাঁপানো অন্ধকার রাতে ।।
                                               - অকবি-