এখন আর আয়নার সামনে দাঁড়াইনা
আয়নার সামনে দাঁড়ানো মানেই তো-
পুরানো স্মৃতিগুলোকে আলিঙ্গন করা,
সুখ দুঃখের প্রতিচ্ছায়ার সঙ্গে দীর্ঘ বাক্যালাপ ।
আবার মনে পড়ে যাওয়া
নিরাভরণ প্রেমের অবাধ হাতছানি ।
তাই এখন ভালোবাসি সমাজের সামনে দাঁড়াতে,
চেষ্টা করি সমাজ দর্পনে নিজেকে দেখতে ।
যে দর্পন আমায় বাস্তবকে চেনায়,
কল্পলোকের ঘোমটা খুলে নতুন জগৎ শেখায়
আর বোঝায় সমাজের অভিজ্ঞতার মালাগাঁথা ।
যে প্রেমিকা তার প্রেমিককে সূচনাতেই ভুলে গেছে
সে কি-করে বুঝবে হারানো যন্ত্রনার ইতিকথা !
নিঃস্বার্থ প্রেমিকের কাছ থেকে সে অনেক আমন্ত্রন পেয়েছিল
কিন্তু একটা সুযোগকেও প্রেমিকা জড়িয়ে ধরেনি ।
ভাঙা আয়নাও এখন সেই প্রেমিককে দেখে হাসে,
ব্যঙ্গ করে তার সমাজের নগ্ন ভালোবাসাকে ।
এক জীবনে সুখ তো আর এক জীবনের বেদনা
এক সময়ের ভালোলাগা তো আর এক অসময়ের বঞ্চনা ।
বুড়ো আয়নাও আজ ভুলে গেছে –
তাদের শেষ বিরহের দিনটার কথা ।
আর প্রেমিকা,সে তো কবেই
নিজেকে প্রকাশ করেছে অন্য প্রকাশকের সন্মুখ পৃষ্ঠায় ।
কেবল প্রেমিক ভুলে যেতে পারেনি –
হৃদয় গাঁথা পুরানো সেসব স্মৃতিকথা ।