হাঁচি কাশি শ্বাস কষ্ট ব্যাথা আর বেদনায়
এ কোন তান্ডব চলিছে করোনায়?
স্বজন হারাদের অন্তহীন বেদনে
ভারী বায়ু আজ বসুন্ধরায় রোদনে।
ভয়ে আতন্কে সরলমনা লোকজন
এই বুঝি করোনায় গেল পরান খান।
লকডাউনে কর্মহীন শিক্ষিত বেকার
করিছে ছটফট গৃহে বারে বার।
নেই অর্থ নেই যে কোন কাজ তার
কি করিবে কি হইবে মাথায় ঢুকে না আর।
ক্ষণে ক্ষণে বাড়ে উদ্বেগ বাড়ে উৎকন্ঠা
এভাবেই কি যাইবে শেষ হইয়া জীবনটা?
স্ত্রী পুত্র স্বজন কেউ কি থাকিবেনা আর
একে একে যাইবে সবাই হইয়া পার।
মুদি দোকানি, চাকুরিজীবী আর সরকারী লোক
নেই শুধু তাদেরই কোন দুর্ভোগ?
নয়ন জুড়ে অবহেলিত মানবের অগ্নি স্ফুলিঙ্গ
চলিছে ক্রোধময় প্রশ্ন, এ কোন বঙ্গ?
স্বাধীনতার তরে বইছিল এথায় রক্তের বন্যা
তব কেন বাঁচিবার তরে হইবে এতো কান্না?
রাজার আবার হইল আদেশ হইল ফরমান জারি
ফ্রীতে চলিবে না কোন পারাপারি।
হোক যত কষ্ট যত উচিত শিক্ষা
করিতে হবে নিজ খরচে করোনার পরীক্ষা।
এ হইল আবার কেমন আদেশ?
ভাগ্যে কি জুটিবে না স্বস্তির নি:শ্বাস?
ম্যাচ রুমে বাড়িওয়ালারা আসে লাঠি হাতে
চক্ষু রাঙ্গিয়া বলে এক্ষুনি বেরোতে।
কয় মাসের ভাড়া বাকী ভাড়াটিয়ার
বাডিওয়ালা করিছে তাই দুর্ব্যবহার।
ছেড়েছে বাসা গেছে কতোজন গ্রামে
কোনমতে আছে যারা কাটিছে নির্ঘুমে।