ফুলে ফুলে কাশবন সেজেছে তটিনীর বালুচরে
        শরতের এই স্নিগ্ধতার প্রহরে
গগন ফুঁড়ে দুর্গতিনাশিনী আসবে আলোকিত করে
       ধরণির বুকে পিতৃদেবের ঘরে
লক্ষ্মী-সরস্বতী-কার্তিক-গণেশের হাত ধরে
     দুর্গাদেবী আসবে ধরায় নাইয়রে।
মন্দিরে মন্দিরে আগমনি ধ্বনি ভক্তবৃন্দের স্বরে
    ধূপের ধোঁয়ায় আরাধনার যজ্ঞাসরে
একশত আটটি পদ্ম সাজানো হয়েছে থরেবিথরে
      দুর্গাদেবী আসবে কিছুক্ষণ পরে
দুষ্টের দমন শিষ্টের পালনে নিখিল চরাচরে
      সুখের আলোয় ঘরবাড়ি ভরে।
আলোকসজ্জার প্রজ্বলন আজ গ্রাম-বন্দর-শহরে
      বাদ্যযন্ত্রের মনোহর সুর লহরে
বিল্বপত্র-পুষ্পের পূজার্চনায় অবতার হয়ে প্রিয়ংকরে
    দুর্গাদেবী আসবে প্রতিমার অন্দরে
মানুষের সকল অমঙ্গলের অবসাদ যাবে ঝরে
    আনন্দোচ্ছ্বাস বইবে সবার অন্তরে।