বসন্তের মনোরম সাঁজবেলার হিমেল সমীরণে,
বাতায়ন খুলে পাশে বসো,
নরম হাতের কোমল স্পর্শে,
নামিয়ে রেখো তোমার খোঁপার চুলগুলো,
চোখ মেলে যেন উড়তে দেখি,
তুমি কি জানো?
আমিও ফুলের সুবাস নিতে জানি,
তোমার নিষ্পাপ উষ্ণ ভালোবাসা যদি দাও,
কুড়িয়ে নেবো সবটুকু,
অনেক হয়েছে, আর করো না আঘাত;
নীলিমার নীলে ভেসে বেড়ায় আমার রাজ্যপাট,
যাদুর হাতের নিপুণ কারুকাজ।


শুভ্র প্রভাতের সূর্য তুমি,
তোমার যত অহংকার রাখো বেঁধে আঁচলে,
সময়ে অসময়ে করো দেখা,
আমার দুয়ারে তুমি পাবে স্বর্গের বসবাস।
এসো সুনীল সাগরে ভাসাই তরী,
না হয় সইবো একটু যাতনা,
সাগর জলে ভাসিয়ে দেবো,
লুকিয়ে রাখা মনের যতো রঙ্গীন বাসনা।


যদি ভাবো শাসিত তুমি,
নিষ্প্রাণ হৃদয়ে রেখো না তোমার হাত,
আমিও ভালোবাসতে জানি,
তোমায় ভেবে ফেলবো না আর হতাশার দীর্ঘশ্বাস,
বিশ্ব সংসারের অসীম শূন্যতায়,
পাষাণ বুকে থাকবো আমিও,
দেখো, পিছু ফিরেও তাকাবো না আর;
বাড়াবো না ব্যর্থ দুটি হাত।


অনেক হয়েছে, এবার বাড়াও দুটি হাত;
প্রণয় সাগরে সাঁতার কাটি,
তোমার যতো অভিযোগ রাখো তুলে চিঠির খামে,
জ্যোৎস্না নামুক, হৃদয় নাচুক তোমার সঙ্গে একা;
বরফ শীতল শুভ্র নদী হইও না!
সময়ে সময়ে দিও উষ্ণতা,
যেন ভালোবাসার স্বপ্নিল দুয়ার খুলে,
তোমার স্নিগ্ধ চুলের সুগন্ধে ভাসি।