- তুমি কে হে জ্যোতির্ময় মানব?
স্বপ্নলোকে কেন তোমার এই শ্রান্ত পদধূলি?
- আমি ধরিত্রীর ছিন্ন বীণার মায়াজাল ছিন্ন করে
বহু শতাব্দী ধরে, বহু পথ প্রান্তর পেরিয়ে;
তোমার নীলকণ্ঠ ভালোবাসার বন্ধনে
আবদ্ধ হতে এসেছি হে স্বপ্নদেবী।
- তুমি কি জানো ওহে নির্বোধ জ্যোতির্ময় মানব,
নীলকণ্ঠের জ্বালায় অসহ্য যন্ত্রণা হলে
বহু শতাব্দী ধরে নিস্তব্ধ হয়ে রবে তুমি?
- আমি ধরায় হিরোশিমার বিস্ফোরণ থেকে শুরু করে
বাংলায় একাত্তরের রক্ত কবর সহ্য করে এসেছি,
আমার আর কিসের ভয় হে স্বপ্নদেবী!
- তোমার সাহস দেখে আমি মুগ্ধ হে জ্যোতির্ময় মানব,
তবে বলো, ভালোবেসে কি দিতে পারো আমাকে?


- হে স্বপ্নলোকের স্বপ্নদেবী,
তুমি চাইলে এনে দিবো
স্বর্গীয় কোন ফুল,
যে ফুলে থাকবে শুধু ইন্দ্রিয় সুবাস,
সেই ফুল যতন করে গেঁথে দিবো,
তোমার কৃষ্ণ কেশের স্নিগ্ধ খোঁপায়।


তুমি চাইলে জয় করবো
অপূর্ব কোন নগরী,
যে নগরীতে থাকবে শুধু সাম্যের গান,
সেই নগরী ফুলে ফলে রঙিন হবে,
তোমার স্নিগ্ধ কোমল ইন্দ্রিয় ছোঁয়ায়।


হে নীলকণ্ঠের স্বপ্নদেবী,
তুমি চাইলে লিখে দিবো
অর্বুদ কোন উপমা,
যে উপমায় থাকবে শুধু তোমার সৌন্দর্যের কথামালা,
সেই উপমা লেখা হবে মহাশূন্যের প্রতিটি নক্ষত্র তারায়,
তোমার স্বপ্নলোক প্রজ্বলিত হবে নিত্য নব ধারায়।


তুমি চাইলে মেনে নিবো
নিষ্ঠুর কোন মৃত্যু,
যে মৃত্যুতে থাকবে শুধু হাজার শতাব্দীর স্নিগ্ধতা,
সেই মৃত্যু ধরিত্রীর বুকে এনে দিবে শান্তির বারতা,
তোমার কোমল স্পর্শে শীতল হবে নিপীড়িত মানুষ।


- তুমি আমাকে মুগ্ধ করলে হে জ্যোতির্ময় মানব কবি,
সত্যিই কি তুমি নীলকণ্ঠের ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হতে চাও?
- আমি ধরিত্রীর যতো যন্ত্রণা, যতো বঞ্চনা, যতো আছে হিংসা;
বহু শতাব্দীর ইন্দ্রিয় সাধনায় তুলে এনেছি তোমার দ্বারে,
যেনো ধরিত্রীর বুকে শান্তির বারতা বয়ে যায় মঙ্গল আলোকে,
তাই তোমার মৃত্যুঞ্জয়ী হলাহল সুধা পান করতে এসেছি হে স্বপ্নদেবী।
- তবে এসো হে জ্যোতির্ময় মানব কবি,
তোমাকে নীলকণ্ঠের ভালোবাসার তরুছায়ায় অভিবাদন।