জানি এ কবিতা তুমি খুজবেনা কোনদিন।
না দিতে পারা কবিতাগুলো;
ভাঁজ করা লাজ মুখে, ডায়েরির পাতার ভিতর।
তাতে তোমার চোখের অক্ষর গুলো জুড়ে,
স্বপ্ন এঁকে রেখেছিলাম।


ভুলতে চেয়েছি, কিন্তু পারিনি;
তোমার লুকিয়ে আমাকে দেখা
চোখে চোখ, প্রজাপতির মতো উড়ে যাওয়া;
পালাতে না পারলে, ওরনাতে মুখ ঢাকা।


আমিও তো কতবার হলুদ পাখীর মতো,
নিজেকে আড়াল করেছি।
লুকিয়ে লুকিয়ে কত কবিতা লিখেছি;
খামে ভরেছি, খাম খুলে আমিই পড়েছি।


সব সংকোচ ঠেলে, হৃদয়ের তাগাদাতে
একদিন; তোমার কাছে যাওয়া।
তোমার ব্যক্তিত্বময় মুখে সেদিন,
পরন্ত বিকেলের সূর্য্য উঠেছিল।
তুমি হাতে একটা ঢিল নিয়ে,
নারাচারা করতে লাগলে।
জিজ্ঞাসা করলাম কেমন আছো?
চোখের থেকে চুল সরিয়ে বললে, ভালো।
প্রশ্ন করলাম-
আমার অস্তিত্ব তোমার হৃদয়ে শেকড় গেরেছে?
নদীর জলে টুপ করে ঢিলটা ফেললে,
তরঙ্গ খেলে গেল বুকে......
তুমি বললে-
আমার চোখে লেখা অক্ষর গুলো,
জোড়া লাগিয়ে দেখো।


গোলাপ পাপড়ি ঠোট, লাজে ভরা অবনত মুখ,
জানিনা কোন সে সুখে, ভরে উঠল আমার বুক।