শহরের এক কোনে
                মাঠ বিঘা সতের,
বিকালেতে জড়ো হয়
                পাঁচ থেকে পনের ।
ফুটবলে মেতে ওঠে
                নানা রঙে জার্সি,
কখনও বা ভাঙে বাল্ব
                কখনও বা শার্শি ।
তবু কেউ কক্ষনো
                করেনিকো অভিযোগ,
জানে সবে কৈশোরে
                সবারই এক রোগ ।
চিৎকার করে তারা
                করে জয় উল্লাস,
পরিবেশ ভরে ওঠে
                বয়ে যায় সুবাতাস ।
দেখা গেল একদিন
                মাঠ ঘেঁষে রাস্তায়,
কারা যেন লরি থেকে
                ইটবালি ফেলে যায় ।
বিস্ময়ে খেলা ছেড়ে
                করে তারা সন্ধান,
জানতে পারলো হবে
                সরকারী আবাসন ।
ফুটলোনা কারো কথা
                হতবাক সকলে
এ কেমন বৈরিতা
                মাঠ নিতে দখলে !
পরিবেশ নিয়ে কত
                বলে গেল মন্ত্রী
আজ সব ভুলে গিয়ে
                হ’ল ষড়যন্ত্রী ?
বসলো সবাই গিয়ে
                মাঝমাঠ বরাবর
ঠিক হ’ল প্রতিবাদ
                করবেই সত্ত্বর ।
সকালেতে লোক নিয়ে
                এলো যেই ঠিকাদার
শহরের যতো ছেলে
                ঘিরে ধরে চারধার ।
প্রথমেতে মিঠে কথা
                অনুরোধ উপরোধ,
ভিজলোনা চিড়ে তবু
                উল্টে দেখায় ক্রোধ ।
নন্টে-ফন্টেরা সব
                 খুললো জামা গায়ের
কালি দিয়ে বুকে লেখা
                 এই মাঠ আমাদের ।
ছেলেরা ঝাপিয়ে পড়ে
                 ভেঙে ফেলে যত ইট
ঝোপ বুঝে ঠিকাদার
                 পালিয়ে বাঁচায় পিঠ ।
মন্ত্রী-পুলিশ এল
                মিটিং করলো বসে
খেলার মাঠে খেলাই হবে
                মানল সবাই শেষে ।


“বুড়োরা ঘরে সুন্দর, শিশুরা কেবল মাঠে”