হাজার কৌতূহলী চোখের দৃষ্টি একটা গর্তেই সীমাবদ্ধ
নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে চলে কোদাল গাইতি চালানোর শব্দ
ধরিত্রীর বুক চিরে চলছে যেমন প্রত্নতাত্মিক খনন
এই বুঝি দেখা দেবে কোন প্রাগৈতিহাসিক নিদর্শন!
সম্মোহিত জনতার মাঝে হঠাত জেগে ওঠে সাড়,
বেলচার মাটির দলায় উঠে এল ছোট্ট একটি হাড় ।


উৎকন্ঠিত জনতার মনে গড়ে ওঠে রহস্যের জাল
অবশেষে দেখা মেলে জনৈক হতভাগ্যের নরকংকাল ।
মিডিয়ার ক্যামেরা ছবি তুলে যায় নানান ভঙ্গিমায়
চ্যানেলের টি আর পি লাফ দিয়ে বেড়ে চলে হায় !
নেতা মন্ত্রীদের গাড়ীর কনভয় রাজপথে ছুটে যায়
কংকালে ফুলমালা দিয়েই শুরু হয় বিবৃতির লড়াই ।


কৌতুহলী মনে প্রশ্ন জেগে ওঠে, কংকাল তুমি কার ?
যেই হও তুমি, যে কোন দলের, এসব প্রশ্ন বেকার
মানুষই তো ছিলে তুমি এই সেইদিন রক্তমাংসে গড়া,
হয়তো তোমার হৃদয়টা ছিল প্রেম ভালোবাসা ভরা ।
হয়তো তোমার সংসার ছিল, স্ত্রী-ছেলে-মেয়ে মিলি
তবুও জানি না কেন তুমি হলে এই পরিস্থিতির বলি ?


দধিচীর মতো তোমারও তো হাড় লাগবে কর্মযজ্ঞে
অস্থিগুলোই সিঁড়ি হয়ে যাবে কারও রাজনৈতিক লক্ষ্যে ।
হয়তো তোমায় শহীদ বানিয়ে ফিরবে কারও নিয়তি
হতে পারে কেউ মন্ত্রী কিম্বা নিজ এলাকার সভাপতি ।
তলিয়ে যাবেই অতল গহ্বরে তোমার সাধের সংসার
হিতৈষী নেতা, নিকট আত্মীয়-বন্ধু, যে যার সে তার ।


স্বপ্নেতে দেখি, রাজপথে জুড়ে এ কি, শতসহস্র কংকাল
কারো হাতে নেই দলীয় ঝান্ডা গেরুয়া সবুজ কিম্বা লাল ।
সবার হাতেই শুভ্র পতাকা, গেয়ে চলে শান্তির জয়গান
রাস্তার ধারে জীবিত জনতা শুধু ফুলের পাঁপড়ি ছড়ান,
মহামিছিলে উঠছে শ্লোগান - হিংসা নয় .....শান্তি চাই
পৃথিবীটা হোক শান্তির নীড়, হিংসাকে দাও চিরবিদায় ।