একবার টানি খাটটা এদিকে, একবার টানি ওদিকে
নিস্তার নেই, ঘর ফুটো হলে জল পড়বেই চারদিকে
কোলের শিশুকে জড়িয়ে বুকে গোটারাত জেগে থাকি
ভিজছে অঙ্গ-বসন-ভূষণ, পোড়া কপাল কেন বাকি ?


কোন নিশিডাকে জানিনা সেদিন দিয়েছিনু মোর মন
অলসতা ভরা কাপুরুষটাকে শুধু দেখে তার চাঁদবদন
কি করে যে আমি নেশাখোরের গলায় দিলাম মালা
সারাদিন ধরে চুল্লু খেয়ে, আমাকে পেটায় রাত্রিবেলা ।


চালচুলো নেই সংসার পেতে ঋণ করে করে হয়রান
শোধ দিবে কোথা কানাকড়ি নাই ঘরেতে এলো সন্তান
তবুও বাবুর মতি ফিরলো না, গাঁজা মদ জুয়া সাথে
পাওনাদাররা রোজ হানা দেয়, চায় মোর সাথে শুতে ।


বললে ওনাকে, খ্যাঁক খ্যাঁক হাসে, অশ্লীল কথা বলে
মনে হয় যেন দুরে চলে যাই পোড়া সংসার ফেলে ।
এক সন্ধ্যায়, স্বামী ঘরে নাই, টাকার তাগিদে এলো
চারজন মিলে ধর্ষণ করে মোরে আধমরা করে গেল ।


বৃথা অশ্রুপাত, বৃথা অভিযোগ, স্বামীটাই যার দালাল
সন্তান বুকে, গভীর রাত্রে, ত্যাগ করি ঝুটা মায়াজাল ।
মন নির্ভয়, সবই তো গেছে, লুটের জন্য কিছু নাই
আশ্রয় পাই জীর্ণ কুটীরে, কারো ফেলে যাওয়া ঠাঁই ।


অভাগী যেদিকে চায় সেদিকেই ছাই হয়ে যায় আশা
কুটীরের পাশে জাতীয় সড়ক লরিদের যাওয়া আসা
দিনে দুপুরেই হানা দেয় সেথা মাতাল কিম্বা জুয়াড়ি
নেশার ঘোরে দেহভোগ করে, হাতে দেয় টাকাকড়ি ।


জীবন যুদ্ধে আজ আমি এক পরাজিত কোন পদাতিক
সব সয়ে নেব যদি খোকা হয় মানুষের মতো মানবিক
প্রতিবাদী হয়ে লড়ে যাবে যাতে সুবিচার পায় ধর্ষিতা
পতি থাকতেও অসহায় নারী কেন হ’ল আজ পতিতা ।