যেদিন প্রথম এসেছিলে সেদিনই জানতে শেষের দিনটা
মাঝখানের সময়টাতে ফাইল, লেজার, হার্ডওয়ার-সফটওয়ার
ধীরে ধীরে তোমার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠলো ।
নটা পাঁচটার বাইরের সাদামাটা জীবনে আদ্যোপান্ত সুখী হয়েও
নিস্প্রান জড় বস্তুগুলোর প্রেমে তখন তুমি উথাল-পাথাল ।
কত নম্বব্র সার্ভিসবুকের কোন পাতার শেষে মরা পোকার দাগ,
ল্যাবের মেশিনগুলোর টেকনিক্যাল নো-হাও, শক্তি-দুর্বলতা
সবই তোমার নখদর্পনে, দীর্ঘ কর্মজীবনের ঝাল-মিষ্টি স্মৃতিগুলো
আগামী কয়েক দশকের জন্য তোমার মস্তিষ্কে স্থায়িত্ব পেয়েছে ।
জীবনে অজস্র বন্ধু পেয়েছো, শত্রুতাও হয়েছে কারো কারো সাথে
তোমার বিদায়লগ্নে প্রত্যেকেরই মন কিন্তু বিষন্নতায় ভরা ।
এতদিন কর্মস্থলটাকে ঘর বানিয়েছিলে, ঘরটাকে পান্থশালা
সময়ের ব্ল্যাঙ্ক চেক যখন পেয়েই গেলে, তখন রুটিনটাও বদলাও ।
অবসর বলে কিছু হয় না বন্ধু, স্রেফ একটা কমার্শিয়াল ব্রেক,
কাল থেকে নতুন এপিসোড শুরু, বদলাবে শুধু লোকেশন ।
সদ্য কেনা নতুন দেশলাইয়ের প্রথম কাঠির মতো জীবন
একবার বুক সমান ফ্ল্যাশের আলোয় জাতীয় সঙ্গীতের মতো
চলো না সবাই মিলে গাই,“আজি জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে”
“নেভার সে ডাই” যে ভাবে গেয়েছিল এক নাম না জানা ফিরিঙ্গি ।