রাঙামাটির দেশে ইবার লতুন করে নিশান উড়া
বন-বাদাড়ে, ডুংরি-টিলায় ফুটুক দেদার কিষ্টচুড়া ।
কে বলেছে ভুলব মুরা সিধু কানুর বীরের লড়াই
লালমুহাদের যত বিত্তাপ ভাঙ্গে দিল উঁরা দু’ভাই ।


গরা পল্টন ভাঙ্গছে ঘর, লুটছে উঁরা মুহের দানা
ইজ্জত লুটে ঘরের বহুর, মরদটোকে করল কানা ।
ইসব দেখে রিঙ্গাই উঠে সিধু কানুর ভর জুয়ানি
সান্তালরা জোট বাঁধল, যতই দেখাও চোখরাঙ্গানি ।


গুলির জবার ছিল উঁদের টাঙ্গি বল্লম আর কাঁড়বাঁশ
দে জোরে টান ধনুক ছিলায়, রক্তে ভাঁসাক লাশ ।
তুদের জমিন তুদের মাটি করবে উঁরা জবরদখল
গাঢ়ে দিবি এই জমিনেই, মাতব্বরির লালমুহাদল ।


পাহাড় টিলায় জোরসে লড়াই করল্য যত সান্তাল
দেশ বাঁচাতে জান দিল উঁরা রক্তে ভাঁসে চাতাল ।
সিধু-কানুর জবর লড়াই শুনল্য যখন গটা দেশ
বুঝল সবে উঁরাও পারে গরা জমানা করতে শেষ ।


সিধু-কানু মরণজিতা, বাঁচে রইবেক সবার অন্তরে
ভগনাডিহির রক্তঝরা দিনটো তাই যাবেনা পাসুরে ।
আজ মুদের গরবের দিন হুল শহীদের রক্তে রাঙা
বাজা তুরা ধামসা-মাদল, ফুঁকে যা জোরসে শিঙা ।


শব্দার্থ
কিষ্টচুড়া (কৃষ্ণচূড়া); লালমুহা (লালমুখো/ বৃটিশ); গরা পল্টন (সাদা চামড়ার সৈনিক); মুহের দানা (মুখের খাবার); রিঙ্গাই (উত্তেজিত); গাঢ়ে (পুঁতে দেওয়া); মরণজিতা (মৃত্যুঞ্জয়); পাসুরে (বিস্মৃত হওয়া), ফুঁকে (ফু দিয়ে)