কুলির মোড়ে চঙা ফুঁকে বাতলাইছিলি বদলা লয় বদল চাই
বল্যেছিলিস মরা ডালে ফুল ফুটায়ে আনে দিবি বসন্ত ফাগুন ।
তবে আজ কেনে বদলা লিতে চালাই যাছিস রক্তের হোলি
পড়শী গরীব চাষীর খামারে ধানের পালুইয়ে লাগাছিস আগুন ?


লেংটাকালল্যে দেখা দিনগুল্যা কেমনে যেন পাসুরে যাছিরে বাপ
গাঁ-গেরামের চাষাভূষারা ভালই ছিল তেলে জলে মিলে মিশে
আজ সব রঙ মাখ্যে বহুরূপী সাজে বাঘের বনে শিয়াল রাজা
বাপ-বেটা, ইয়ার-বন্ধু, মরদ-মাঙের রিস্তাকে ভরে দিছে বিষে ।


আজ ইয়ার মাথা’ত কাল উয়ার, শ্মশানঘাটে পুঢ়াকাঠের পাহাড়
ঘর পুড়ছে, দুয়ার পুড়ছে, পুড়ছে ক্ষেত-বাদের হলুদ বন্ন ধান
মাইক ফুঁকে উসকানি দিয়ে টিভি কাউকে কাউকে বনাছে হিরো
কাউকে আবার বুনা কাঁড়াদের লড়াইয়ে বেঘোরে দিতে হছে জান ।


দেশটোর চাদ্দিক ঝুপঝাড় আর আগাছার জঙলায় ভরে গেলরে
ইদিক থাক্যে উদিক সকাল সঞ্ঝ্যা মানুষখেঁক্যা লেকড়াদের হুমদুমি
ভোজঘরের নুন-নেবুর পারা কাগজের উপর পাতাতেই গণধর্ষণ
নরক থাক্যে সগ্গে পঁহুচে যাঁয়েও ইজ্জত খুঁয়াই কাঁদছে গটা কামদুনি ।


এক মাঘে জ্যাড় যায়না বকা, আর কতকাল টুপি পরাই রাখবি
কতকাল চালাবি মুঁহের থুঁতি কাড়্যে লিতে চাষী ভাইয়ের বর্গাজমি ?
লালমাটির ভুঁখাপিঁধা লকগুল্যা যদি পাহাড় ফাঁড়্যে লদী বহাত্যে পারে
তবে হিম্মতও রাখে সব জল শুঁষে লিয়ে লদীকে বনাত্যে মরুভূমি ।



কিছু আঞ্চলিক শব্দের অর্থ


কুলির (রাস্তার); চঙা (মাইক); বাতলাইছিলি (জোর দিয়ে বলেছিলি);
পালুইয়ে (আঝাড়া ধানের গাদা ); লেংটাকালল্যে (ছোটবেলা থেকে); পাসুরে (ভুলে যাওয়া); মরদ-মাঙের (স্বামী-স্ত্রীর); কাঁড়াদের (পুরুষ মহিশদের); সঞ্ঝ্যা (সন্ধ্যে); লেকড়াদের (নেকড়েদের); হুমদুমি (তান্ডব); জ্যাড় (শীত); মুঁহের (মুখের); থুঁতি (কথা, বুলি); ভুঁখাপিঁধা (অনাহারকিষ্ট)