ঘরবন্দি সকাল-সন্ধ্যে বাইরে যাওয়া মানা
একনাগাড়ে ঝম-ঝমা-ঝম ভাল লাগে না ।
পাকা ধানে মই দিলি তুই দিলি এমন সাজা
যা বৃষ্টি যা, তুই দুরের দেশে যা ।


ধারাপাতের ছয়ে ঋতু তুই তো মানছিস না
আধেক বছর দখল নিলি, লজ্জা করে না ?
শরত শেষের এই বেলাটা করলি কেন বাঁজা
যা বৃষ্টি যা, তুই দুরের দেশে যা ।


শুনিসনে তুই পূজোর দিনের আগমনী গান
মা আসবেন মর্ত্তলোকে করতে মোদের ত্রাণ ।
ধনী গরীব এই কটা দিন সবাই হবে রাজা
যা বৃষ্টি যা, তুই দুরের দেশে যা ।


আসবি বৃষ্টি আষাঢ় বেলায় ঝরঝরিয়ে ঝরে
হাসবে কৃষক বাঁচবে মানুষ ধান চাষ করে
আশ্বিনমাসে জলে ভেসে ধান থাকেনা তাজা
যা বৃষ্টি যা, তুই দুরের দেশে যা ।


পূজোর মজা কাঁচিয়ে দিয়ে বানের জলে ভেসে
অনেক মানুষ ঘর হারিয়ে নিরাশ্রয় এই দেশে
তাদের কথা ভেবেভেবেও নেই কি কোন লজ্জা ?
যা বৃষ্টি যা, তুই দুরের দেশে যা ।


* গত বছর পূজোতে বৃষ্টি হওয়ায় বাংলার মানুষ সেভাবে দিনগুলো উপভোগ করতে পারেনি । সেসময় ঘরবন্দি হয়ে মনের দুঃখে দুটো কবিতা লিখেছিলাম । তারই একটা আজ দিলাম ।