সেঞ্চুরী কথাটা সর্বদাই সুখদায়ক । সেটা ক্রিকেটের মাঠেই হোক, সাংসারিক জীবনেই হোক (তাবলে ধৃতরাষ্ট্রের মতো সেঞ্চুরী নয়) কিম্বা সাহিত্য জীবনেই হোক । মনে আছে ছোটবেলার বেশীরভাগ সময়টাই খেলার মাঠে (বিশেষতঃ ক্রিকেট) কেটেছে । ভাল বোলিং করার সুনাম ছিল, ব্যাটটাও মন্দ করতাম না । পাশের পাড়ার সাথে ৮৬ রানে আউট হয়ে কী কান্না ! জীবনে ঐ একবারই ৫০ পেরিয়েছি, স্বপ্ন দেখতাম সেঞ্চুরী করার, সে যে কোন স্তরেই হোক । সে স্বপ্ন অপূর্ণই রয়ে গেছে ।


আজ অবশ্য আরেকটা স্বপ্ন বাস্তবায়িত হল । কবিতার সেঞ্চুরী । জানি এটা কিছুই না । আসরে ভুরি ভুরি সেঞ্চুরিয়ান আছেন, কেউ বা বা ডবল, ট্রিপল, টেট্রা সেঞ্চুরীর মালিক বা মালকিন । আমি অবশ্য বহু দিন আগেই মাইলস্টোনটা ছুঁতে পারতাম, অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল আমার কবিতার ভাষা । আপনারা জানেন আমি মুলত আঞ্চলিক ভাষাতেই কবিতা লিখতে অভ্যস্ত, যেটা আসরের কারো কারো বোধগম্য নয় । তাই আমার অনেক পছন্দসই কবিতা পোষ্ট করতে পারিনি, গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্নে । যাইহোক একদিন অন্তর আমি সহজ সরল আঞ্চলিক ভাষায় কবিতা প্রকাশ করি, সেগুলো কবিবন্ধুদের দ্বারা উচ্চ প্রশংসিতও হয় । আমি কৃতজ্ঞ ।


কবি হবো এমন বাসনা আমার কোনদিনও ছিল না, আজও নেই । আমি কেবল সমাজের দুর্বলতম শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব করতে, ওদের আনন্দ-দুঃখ-বেদনা ও সামাজিক পরিস্থিতির কথা সাধারণ মানুষের কাছে বলতে কবিতার মাধ্যমটাকে বেছে নিয়েছি । ছন্দ-তাল সম্পর্কে আসরের বিদগ্ধ কবিদের মতো আমি বিশেষজ্ঞও নই । তাই মাঝে মাঝেই তাল হারিয়ে ফেলি । যাইহোক আমি পরিতৃপ্ত এইজন্য যে অনেকেই আমার কথা শুনেছেন, ওদের জন্য সহমর্মিতাও প্রকাশ করেছেন ।


আজ এই বিশেষ দিনে প্রথমেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবো মাননীয় এডমিন সাহেবের প্রতি, যাঁর নিঃস্বার্থ অবদানে এই মহান আসরে কবিতা প্রকাশের সুযোগ পেয়েছি । আমি কৃতজ্ঞ সেইসব কবিবন্ধুদের প্রতি যাঁরা প্রতিনিয়ত আমায় উৎসাহ দিয়েছেন, তাঁদের প্রতিও যাঁরা আমার কবিতার সমালোচনা করেছেন ।


সর্বশেষে আমার বিনীত আবেদন সেইসব বিদগ্ধ কবিবন্ধুদের প্রতি যাঁরা আসর থেকে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়িয়েছেন, যাঁরা অভিমানবশে মন্তব্য দেওয়া-নেওয়া থেকে বিরত থাকছেন, যাঁরা ব্যাক্তিগত বাধ্যবাধকতায় আসর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, আপনারা দয়া করে ফিরে আসুন, আপনাদের অভিজ্ঞতার ডালি দিয়ে সাজিয়ে দিন কবিতার আসর । আপনাদের কাছে অনেক শিখেছি, আরও অনেক শেখার বাকী, অন্ততঃ সেই সুযোগটা করে দিন ।