নবমীর রাতে রেকর্ড ভীড়
ছেড়েছে সবাই আপন নীড় ।
পরিবার নিয়ে পূজো দেখা
কারো বান্ধবী কারো সখা ।
কেউবা একা বাঁধন ছাড়া
পোষাক আষাক মন কাড়া ।
হঠাৎ নজরে পড়লো তারে
স্মৃতি ঝলকায় বারে বারে ।
মনে পড়ে সেই কলেজদিন
এক মনপ্রাণ আমরা তিন ।
কর্ম জীবনে দ্বিতীয় প্রবাসে
কখনো সখনো দেশে আসে ।
তৃতীয় বিবাগী ভাবুক বেশী
সন্ন্যাস নিয়ে গেলো কাশী ।
ওকেই আজ দেখি প্যান্ডেলে
দাঁড়িগোপ ছাড়া সাফ গালে ।
ডাকলাম আমি নাম ধরে
চমকে তাকায় ঘুরে ফিরে ।
আমাকে দেখেই এলো ছুটে
জড়িয়ে বুকে আদর লুটে ।
কথায় কথায় পুরানো দিন
নবমীর রাত হলো রঙিন ।
হাসি ঠাট্টা আমিষ জোকস
ঠান্ডা কফি সঙ্গে স্মোকস্ ।
হঠাৎ শুধাই–ফিরে এলি ?
বললো হেসে-মিটল কেলি ।
সাধু বেশে অসাধু জীবিকা
সোনা চোরা গাঁজা কলিকা ।
বললাম ওকে সংসারী হও
উজ্জ্বল হাসি হলো উধাও ।
ধরা গলায় বললো হেসে
ঝামেলা আবার কেন শেষে ।
তিনমাস বাকী এই ধরায়
শান্তিতে তাই কাটাতে চাই ।
কর্কট রোগে ধরেছে মোরে
আরকি কখনো পাব তোরে !
ঝাপসা চোখে মায়া আবেশ
ভোরের আলোয় রাত্রি শেষ ।