দে’না বেটা একটা বিড়ি দে, সুখটানটা দি
কালরাতে শালা শ্যামলীর ঘরে ঘুম আসেনি ।
লাফড়া করবি তোরা ফাঁসিয়ে দিয়ে আমায়
পেটোগুলো ব্যাগে রেখে কেমন করে ঘুমাই ?
সময় এখন খারাপ কেলো, সাবধানে থাক
চারদিকে টিকটিকি খুঁজে ভীমরুলের চাক ।
অমুক দাদা সেইদিন ডেকে বললেন পইপই
ঘরের ভেতরে বোমা ফাটায় চলছে হইচই ।
কি দরকার লাফড়া নিয়ে করে অন্য ঘোট
পেটো বাঁধার আসল সময় হবে যখন ভোট ।
কালীপূজার চাঁদা আদায় ভয় দেখাবি বলে
কাজটা তো হয়েই যেত চকলেট বোম হলে !
পুলিশ যদি জানতে পারে দেবে এমন কেস
নিজে শালা মরবি সাথে আমিও হবো শেষ ।
ঘরে আমার বৌটা তখন বাচ্চা দুটো নিয়ে
ফুটপাতে ভিক্ষা করবে শ্যামবাজারে গিয়ে ।
আমরা হলাম পেটিগুন্ডা ভয় দেখানো কাজ
মস্তানি আর রংবাজিতে করছি পাড়ায় রাজ ।
মানুষ মারা ঘেন্না করি জীবনটা খুব দামি
তবু নাকি লোকে বলে সমাজবিরোধী আমি ।