আঁধার ঘরে পিদিম জ্বালে
ছেল্যামেয়্যাক রোজ পড়াই,
বিজলী তুই আয়’ন চাঁড়ে
আঁধার মনের জট ছাড়াই ।
কুঁড়্যা ঘরে খড়ের ছাওয়া
রাক্ষস্যা ঝড় উঁড়াই দেয়
বছর বছর জমানো সুখ
এক ঝটকায় কাঢ়ে লেয় ।
তবুও আর যাবই কুথায়
সাতপুরুষের ভিটা ছাড়্যে
ইধার উধার দালাল ঘুরে
মকা পাল্যে লিবেক কাড়্যে ।
দেখলি গাঁয়ে থাম্বা গাঢ়্যে
বিজলীবাতির তার খিঁচায়
আঁধার রাত্যে জ্বলবে আল
গেরামের কুলহি ফটফটায়  ।
বামুন কায়েত দালান ঘরে
জ্বলবে ইবার বিজলী বাতি
দেখব মুরা আঁধার থাক্যে
বিজলী আলয় উঁচা জাতি ।
মুরা কি সব ফেলনা ন’কি ?
কুঁড়্যাঘরের মজুর কামিন
ঘুঁচাবই মুরা কাল আঁধার
আনবে বিজলী লতুন দিন ।


* গ্রাম্য আঞ্চলিক ভাষায় রচিত
পিদিম (প্রদীপ); চাঁড়ে (তাড়াতাড়ি); মকা (সুযোগ);
গাঢ়্যে (পুঁতে); কুলহি (রাস্তা)