লেতা হয়ে মাইক হাঁকাই
             বলিস মিছা বুলি
হাটের মাঝে ফাঁটাই হাঁড়ি
             দিব কাছা খুলি ?
সবকে বলিস বাংলা ন’কি
             মায়ের দুধের মতন
বাংলা ভাষা বাঁচাত্যে তুই
            লিয়েছিস কি যতন ?
বাংলা পড়ে মুদের ছিল্যা
            সাহেব তুদের ছিল্যা
হুলুক মুলুক পড়ত্যে পাঠাস
            করুক যতই গিলা ।
লিজের ছিল্যা ভিনু ভাষায়
            করল্যে ফটর ফটর
গোঁফের ফাঁকে চওড়া হাসি
            বাড়ে ছাতির বহর ।
যাদের ভটে হলিস লেতা
            তাদের কথাও ভাব
বাংলা পড়া বেকার ছিল্যা
            বিকছে হাটে ডাব ।
বলত কেনে এতনা দিনেও
            বাংলা দুয়া রানী
বাংলা পড়ে ঠুলি চইখ্যে
            আজও টানে ঘানি ।
নাই জানলে গরার ভাষা
             নকরি জুটবে আজ ?
সরকারী সব দপ্তরে আজও
            বিদিশি ভাষায় কাজ ।
আজ একুশ্যা ভাষার শহীদ
            দিলেক যারা জান
রক্ত ঝঁরাই রাখল্য যারা
            বাংলা ভাষার মান ।
কুম্ভীর চইখ্যের জলে ভাঁসাই
            বললি তুই’ত সব
মায়ের কিরা কাট্যে বল’ন
           বাংলা হামার গরব !

(কবিতার বক্তব্য বিশেষতঃ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য)



• কবিতাটি বাঁকুড়া-পুরুলিয়া জেলার গ্রাম্য কথ্য ভাষায় রচিত

শব্দার্থ : কিরা (দিব্যি/ শপথ); লেতা (নেতা); মিছা (মিথ্যা); যতন (যত্ন); মুদের (আমাদের); তুদের (তোমাদের); হুলুক মুলুক (দুর দেশ); গিলা (কেলেঙ্কারি); গরা (শেতাঙ্গ, ইংরেজ); নকরি (চাকরি);কুম্ভীর (কুমীর); হামার (আমার); গরব (গর্ব)