অতি সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান, হুগলী, বাঁকুড়া জেলায় মহাজনের ঋণে ঋণগ্রস্ত বহু আলু চাষী আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন । আমরা শহরবাসীরা বাজারে উচ্চমুল্যে আলু কিনছি, অথচ আলুর উৎপাদক কৃষকরা প্রকৃত মুল্য পাচ্ছেন না, সরকারী সহায়ক মুল্যও তাঁদের অনুকুল নয়, এই দীর্ঘ জ্বলন্ত সমস্যার সমাধানে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাও উদাসীন । হতভাগ্য আলুচাষীদের দুর্দশাগ্রস্ত জীবনের ছবি তুলে আনতে চেয়েছি এই কবিতায় ।


মাঠের আলু মাঠেই পড়ে
পঁচবে দু’দিন বাদে
নাই পাইকার নাই খদ্দার
হামরা পড়ি খাদে ।
হিম ঘরেতে আলু রাখার
পৈসা কুথায় পাব ?
ফঁড়্যারা দেয় দুটাকা দর
কুথার থাক্যে দিব ।
গতর খাটা লাঙ্গল চষা
সার বীজের দাম
চাষের খরচ উঠলে তবু
যাকনা রক্ত ঘাম ।
চড়া সুদে ধার-ঋণ করে
করলি আলু চাষ
সুধতে লারি ধারের টাকা
পালি এমন বাঁশ ।
ঋণের দায়ে মরছে চাষী
দালাল হছে লাল
আলু চাষে লাভের আশা
মুদের হ’ল কাল ।
গরীব চাষী থাকে গরীব
খাদ্য জুটায় দেশে
টাকার কুমীর উঠছে ফুলে
গরীব মরে শেষে ।