সেই বল্যে’ন
যদ্দিন গতর তদ্দিন কদর ।
তাবাদে কে কার ?
তর মনে আছে বড়বউ,
মাছ রাঁধল্যে সবল্যে বড় খানিটা
তুই খকনার পাতেই দিথিস ।
বলথিস হামরা মরল্যে উহেঁই ত
মুহে আগুন দিবেক,
উঁর তাগদ চাই বাঁচার ।
কভু কভু গুস্সাও হথ্য,
ইটো কিমন বিচার ?
গতর খাঁটাই পৈসা আনছি হামি
আর লবাবি করবেক ছিল্যা ?
ন্যাজাটো হামার মুঢ়াটো তুঁহার
চাকাগুল্যা ছিল্যা পিল্যার ?
তুই বলথিস কাঁটা বাছত্যে শিখল্যে
উঁরাও ন্যাজা-মুড়া খাবেক ।
হ্যারে বড়বউ, তুই জানতেই পারিস
নাই উরা কবে বাপ-মাটোকেই কাঁটার
মতন বাছ্যে জবরাকুঁড়ে ফাঁবড়াই দিল !
তুর খকনা কি সি খকনা আছে ন’কি ?
সেই হাড় জিরজিরা রুখা শুখা ছিল্যাটো
আজ দেখ বউয়ের হাতে পড়ে কিমন
তেল চকচক্যা কাত্তিক বন্যে গেছে ।
মিনসিপাল্টির বড়বাবু । উঠত্যে বসত্যে পৈসা ।
কম্পানির নকরিতে কুথায় পৈসা ?
ওভারটেম নাই, উপরি নাই, পেনছিন নাই
দুগ্গা পূজার আগে বুনাসটো দিথ্য ।
উ পৈসারল্যেই ন ছিল্যাদের নিখাপড়া,
তিন কুঠরীর ঘর বনানো !
উ ঘরটার ইঁটাগুল্যান যেমন হামার
রক্ত দিয়ে গাঁথা, হামার কলিজার টুকরা ।
আইজ দেখ বড়বউ, উঁরা হামার কলিজাটোকেই
শরীল থেকে ভিনু করে দিলেক !
গুয়াল ঘরটাই এখন তুঁহার হামার ঠিকানা ।
গরু পুষল্যে তবু খাত্যে দিথ্য,
বাপ মাটোকে সিটাও দিছে নাই ।
বড়বউ, জিয়ন্তকালে যে মুদের মুহে
দু'টা ভাত গুঁজত্যে পারে নাই,
মরণ হল্যে উঁর আগুনে কি হবেক !
তারল্যে আগলা জনমে তুই বাঁজা হ,
নাইত হামিই হব আঁটকুড়া ।