হেঁই মা ! মা গো !
উঁরা হামার খেলাশালটো ভাঙে দিলেক কেনে ?
মাটির ভাঁড়ে পৈসা জমায় জমায়
খেলাই চন্ডীর মেলায় কিনেছিলি ।
দু'টা হাঁড়ি, একটো কঢ়াই, খুন্তি ডাবু
একটো চুলা আর দু'টা বালটি,
মাটির বটে তবে বেড়ে সোন্দর ।
তুই’ত বহুৎ ডাঁট্যেছিলি,
বেফালতু পৈসাগুল্যান দিয়ে আলি বল্যে ।
কি করব্য ? হামার সিধু-কানু ভুঁখে মরবেক ?
দেখ্যেছিস, হামার পুতুল বেটাগুল্যান ?
ইস্কুলের হারানমাষ্টর শুন্যাঞ্ছিল উঁদের গপ্ফ ।
বন্দুকয়ালা ইংরাজদের বুকগুল্যান
ছ্যাঁতরাফুটা করেছিল্য উঁদের কাঁড়বাঁশ ।
হামদিকে শির উঁচায়ে বাঁচত্যে শিখাঞ্ছিল উঁরা ।
আইজক্যে দেখ হামদেরই জ্যাতের লকগুল্যান
হামদের সবল্যে বড় দুশমন বন্যে গেল ।
হামদের মাটির ঘরটোকে ধ্বসকাঁই দিলেক,
গুঁড়াই দিলেক হামার সাধের খেলাশালটোকে ।
কি কসুর করেছিল্য হামার বাপ !
হামার আদরের সিধু কানু !
পঞ্চায়েত ভটে বাপ হামার দুসরা ঝান্ডা ধরেছিল্য
বেশরম লোভী ল্যাশাখোর বুধন চাচাকে হারাত্যে ।
ইতে দুষটা কুথায় ?  দেশে গণতন্তর নাই ?
রাত্যের আঁধারে বুধনের লীপিত্যা ছিল্যাছকরারা
টাঙি বল্লম লিয়ে হামদের ঘরটায় সিঁধাই
বাপটোকে টাঙির কপে আধমরা করল্য
তুকে গরুর পাঘা দিয়ে চাবকাল্য,
ঘরের হাঁড়িকুড়ি খাইট ভাঙেচুরে একশা করে,
হামার খেলাশালটোকেও ছাড়ল্য নাই  ?
গুয়াল ঘরে ছুঁপাই ছিলি, নাই’ত হামকেও লিথ ।
দেখলি উরা হামার সিধু কানুকে পায়ের তলে
রঁগাড়্যে রঁগাড়ে মারে দাঁত কেলায়ে হাঁসত্যেছিল ।
মা গো ! সিধু কানু মরে যাঁয়ে বাঁচে গেছি ।
নাই’ত শরীলে উঁদেরই রক্ত লিয়ে
মুহ দেখাত্যম কিমন করে ?