কী ব্যাপার ঋতুরাজ ?
তুমি আসবে কি আসবে না
সে নিয়ে আমাদের কোন মাথা ব্যথা নেই ।
না হয় দখিনা বাতাস দেহমনে শিহরণ জাগাবে না,
না হয় আমবাগানে কোকিলগুলো কুহুস্বরে ডাকবে না
তবুও পৃথিবী ঘুরবেই, রাতটাও দিন হবে ।


তবে তোমার সাধের ঋতুরাজ্য এত আগোছালো কেন ?
জৈষ্ঠ্যের মাঝামাঝি কালবৈশাখীর দেখা মেলে,
ধৈর্য্যের সীমা ছাড়িয়ে তীব্র দাবদাহে দগ্ধ শরীর
শ্রাবণধারার শীতল হতেও অস্বাভাবিক বিলম্ব,
শরতের কাশফুলগুলোরও ডানা মেলার অনীহা
রাজ্যের কর্ম-সংস্কৃতি কি জলাঞ্জলী দিলে ?


সত্যিই তোমার মন্ত্রী ঋতুদের অ্যাটেন্ড্যান্স বড্ড পুওর
যে যখন খুশী আসছে, যাচ্ছে; পাবলিকের কথা ভাবে না ।
না হলে ক্রীসমাসের আমেজেও শীতের তীব্রতা নেই,
বাঙালির পাতে প্রকৃত নলেন গুড়ের সুবাস নেই,
মরশুমী ফুলগুলোরও ফোটার ইচ্ছেটাই নেই
মাঝখানে অনাহুতের মতো বর্ষারানীর অনুপ্রবেশ ।
শীত আর বর্ষার মধ্যে নিশ্চিত ইনটু-মিনটু চলছে
তুমি ইন-চার্জ হয়েও নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছ ?


দেখ, কোনও বাহানা শুনতে চাই না,
রাস্তায় ট্র্যাফিক জ্যামের মতো গ্লোবাল ওয়ার্মিং,
এয়ার পল্যুশন, ব্ল্যাক হোলের গল্প শুনিও না,
পাবলিক আর ওসব খাবে না, ওরা কাজ চায় ।
কি দরকার আর মন্ত্রীসভায় ভিড় বাড়িয়ে ?
অপ্রয়োজনীয়দের বাদ দিলেই তো পারো !
গ্রীষ্ম, বর্ষা আর শীত থাকলেই বছর কেটে যাবে,
মানে মানে রিজাইন দাও, নাহলে ইমপীচমেন্ট হবে ।