বলে’ন – পেঁপুড়ির পাঙ্খা হয় মইরবার লাগ্যে ।
খাচ্ছিলি তাঁতী তাঁত বুন্যে
কাল হল্য এঁড়া গরু কিনে ।
কি দরকার ছিল বাপ সাপে লেউল্যে ইয়ারীর ?
দু’দিন পেরেম দেঁখায় তিসরা দিনেই
ঝলা থাক্যে বিরুল বাহিরাঞ গেল ন ?
দোস্তি করে মস্তি করার খোয়াব
আমজনতার এক গঁহাড়েই খতম ।


দুখ্খু লাগছ্যে বাপ উই দাঁড়িয়ালা বাবুটোর লাগ্যে ।
মার্কস ন কি যেন নাম বটে !
গরীব ভুখা মানুষদের মনে আগুন জ্বলায়
খুনচুষা বড়লকদের খাঁক করত্যে বল্যেছেন
শুখা রুটির তাগদটো উঁসকাই দিয়ে গেছেন
ভাত ঘরের ঠিকানাটোও বাতলাই গেছেন ।
আইজক্যে উনার ফটতে গেঁদার মালা পরায়ে
তুরা মানুষটোকে মান দিলি ন ফাঁসীয়ে লটকালি ?


ই যেমন মাঝ লদীতে ডুবন্ত মানুষের সঙে দোস্তি ।
লিজে সাঁতার জান্যেও ডুব্যে মরলি,
আর আধমরা মানুষটোকে বাঁচায় দিলি ।
উ ডাঙায় আস্যে কখনও বলবেক তুর দোস্তানির কথা ?
তুর জলে ফুলা লাশটোর ফিঁচায়
দু’লাথ মারে বলবেক – শালা হামকেও মারথ্য ।


তুরা কি করে পাসুরে গেলিস
মহুলতোড়ের বনমালি মাহাতোকে
ভুলেই গেলিস বান্দোয়ানের কুর্মা টুডুকে ?
তুদের প্যায়ারের দোস্তরা ঝন্ডার ডান্ডা দিয়ে
উদের খুপড়িগুল্যাকেই উঁখড়াই দিয়েছিল
তবুও মরার আগে উঁরা লিজের ঝন্ডাটোকে ছাড়ে নাই ।
বহু বিটির ইজ্জত লুটে, ক্ষেতের পাকা ধানে
আগুন জ্বলায়ে যারা দিওয়ালীর রাত মানায়
তাদের হাত ধরে তুদের ইজ্জতটো বাড়ল্য ?


হ্যারে বাপ, চঙা ফুঁকে সমাজতন্তের কথা বলথিস
লেনিন, ইস্ত্যালিন, কাকাবাবুর গপ্ফ শুনাথিস
ই দেশে জনগণতান্তিক বিপ্লবের স্বপুন দেখাতিস ।
হামদের ত ইখন তিনকাল যাঁয়ে এককাল
ছানি পড়া চ’খ্যে আর কন ছবিই আসছ্যে নাই ।
কমসে কম হামদের ছিল্যাপুল্যার কথা ভাব
উঁরা আর কি সমাজতন্তের স্বপুন দেখবেক ?
উরা কি আর সব্বহারার লড়ায়ের গপ্ফ শুনবেক ?
লড়বড়্যা ই সমাজটোকে ভাঁঙে গুঁড়াই দিয়ে
লতুন সমাজ গড়ার স্বপুনটো কি মিছা ?
নাঃ যদ্দিন বাঁচব্য স্বপুনটো লিয়েই বাঁচব্য
লড়াই করলে সত্তিকারের লড়াই করব্য,
তুদের পারা কাকতাড়ুয়া হয়ে লয় ।