ই আবার কিমন লকরে বাপ !
গিলবেকও নাই উগরাবেকও নাই ।
তখন ত দমে ফটর ফটর করছিলি
ইখন গঁগা বন্যে গেলিস ন’কি ?
কুথায় গেল তুর কাল টেকার বাসকো ?
রাঘব বুয়ালগুল্যান ত ঠিকেই আছে
মিন পৈসায় জিও দিবেক আরও তিন মাস
একটো জিনিস কিনলে দুটা ফিরি ।
উদের কাল টেকা ভিতরে ভিতরে
ফরসা হয়ে বাজারে হাওয়া খাছে ।
বলে’ন সেই কষে বান্ধে ফসকা গিরা
দেশে সাদা লক খুঁজা আর
কম্বলে লোম বাছা একেই কথা  ।
পৈসা ছড়ালে ইদেশে কি না হয়
তুই ত সবেই জানিস সবেই করেছিস
নাইলে ইমন তুলতুল্যা গদিতে বসিস ?
পঁচাশ দিন কেনে পঁচাশ বছর সুগুম মারে থাকলেও
দেশটোকে ফরসা করতে পারবিস নাই ।
ঢাল নাই তরয়াল নাই নিধিরাম সদ্দার
পুরান নোট তুলার আগে লতুন নোটের
জগাড় যন্ত কর, তবে’ন হবেক !
উঁদুর মারার অষুদ দিয়ে
ঘরের লকগুল্যানকেই মারে দিলি !
দেখবি যা ছিল্যার জান বাঁচানর টেকা না পাঁয়ে
মহুলবনির রাধেশ্যাম তুদের টেকা তুলার মশিনে
মাথা ঠুকে ঠুকে জানটাই দিল ।
কুলবনির গফুরের মিয়্যাটোর সাদি
ভাঙে গেল সময়ে টেকা না পাঁয়ে ।
কুচবিহারে ধরনী মাষ্টর, ব্যান্ডেলে কল্লোল
মছলন্দপুরের রবীন, রায়দিঘির বিশ্বদেব
আরও কত লক তুর নোট বাতিলের বলি ।
খপর লিয়েছিস কখনো ?
মানুষের মনকে ঘুঁরাই দিতে ইখন
পেলাসটিক টেকা, ক্যাশলেস কিনা-বিচার
বুলি আওড়াছিস, মন লুভ্যাতে পেরাইজ দিছিস ।
উঁয়াতে ভুবি ভুলবেক নাই বাপ !
তুকে হিসাব দিতে হবেক – শয়ে শয়ে
লকের জান লিয়ে দেশের কি উপগার করেছিস,
গরীব মানুষকে লিয়ে ছিনিমিনি খেলে
কটা পৈসায়ালাকে শায়েস্তা করেছিস,
টুঁটি চিপে গরীব কিষাণের করজ আদায় করে
কটা কোড়রপতির ব্যাঙ্ক লুন আদায় হল্য ?
ইটো মনে রাখবি এক মাঘে জ্যাড় যাবেক নাই
বতর আইসবেক, হামরাও দেখে লিব
ঘুঘুটাই দেখেছ চাঁদ, ফাঁদটাও দেখে লিবি ।