সে সময়ে বই মানে কাগজের স্তুপ
হেথাহোথা ছড়েছিটে নাই কোন রূপ ।
বসে থাকে এক কোনে লাইব্রেরিয়ান
বই পড়ে সারাদিন খোলা চোখ কান ।
তিনি এসে সব কিছু বদলে দিলেন
শ্রেণী ভাগে ষ্ট্যাকে যত বই সাজালেন ।
সাথে দিলেন জপমালা পাঁচ সূত্রের
এঁকে দিলেন অপরূপ এক চিত্রের ।
সারা দেশে ছড়ালেন লাইব্রেরী অ্যাক্ট
বিশ্বাস হবে নাকো এই ছিল ফ্যাক্ট ।
লাইব্রেরী পেল মান, মান পেল পেশা
পাঠকের মন পাওয়া হল এক নেশা ।
সারা দেশে পরিচিত হল লাইব্রেরিয়ান
কেউ কেউ নিজ গুনে হলেন মহান ।
ধীরে ধীরে এল এই ডিজিটাল যুগ
ঘরে বসে জার্নাল ম্যাগাজিন ই-বুক ।
মাউসের এক ক্লিকে জ্ঞানের খাজানা
এত কিছু ধরে রাখা তখনও অজানা ।
যুগে যুগে তিনিই ত্রাতা রঙ্গনাথন
যত ভুলে যেতে চাও ভুলবে না মন ।
সূর্য্যের মতো তিনি আলো দিয়ে যান
স্মরণ করি কৃতজ্ঞতায় তাঁর অবদান ।


* ১২ই আগষ্ট দিনটিকে ভারতে গ্রন্থাগার দিবস হিসেবে পালন করা হয় । দিনটি আসলে ভারতের গ্রন্থাগার বিজ্ঞানের জনক পদ্মশ্রী এস আর রঙ্গনাথনের জন্মদিন । পেশাগতভাবে এই কিংবদন্তীর কাছে ভারত তথা সমগ্র বিশ্বের গ্রন্থাগার কর্মীরা ঋণী । একজন লাইব্রেরিয়ান হিসেবে প্রতি বছরই তাঁর উদ্দেশ্যে কবিতায় শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করি । এবার বড্ড মিস হয়ে গেছে । তাই এই বিলম্বিত শ্রদ্ধার্ঘ্য ।