চক্ষু উন্মোচন
অরুণ কারফা


বসন্ত যেহেতু আসেনি তখনও নিজের হাতে সাজানো গোছানো আমার কাঠখোট্টা জীবনে ,
ওর চোখ দিয়ে ভোগ করতে বর্ষার ধারা অঝোরে শ্রাবণে,
চোখ বন্ধ করে থাকতাম আমি ঝাঁপিয়ে পড়লে  ও এসে কোলে ,  
ও কিন্তু তা বুঝতে পেরে থাকত ঘুমের ভান করে এড়িয়ে যেতে সুকৌশলে।


ঝড় উঠলে কলরোলে থাকতাম আবার দুলে দুলে ওই দুটো চোখের পানেই চেয়ে,
যদি আসে রামধনুর ছটা একটি বার ঘনঘটা শেষ হলে,
মেঘ কিন্তু ভেসেই বেড়াত আমি না চাইলেও সমানে সেখানে  ,
যেমনটি হয় মানুষের জীবনে প্রতি নিয়ত লড়াই করে ক্লান্ত হয়েও টিকে থাকার ফলে।


তখন ভাবতাম সেই মেঘই যদি শরতে আসে ভেসে তুলতুলে  আগমনীর গান গাইতে গাইতে ধানের ক্ষেতের উপর ঝুলে ,
বলতাম ওকে থাকো অনিমেখে আকাশের পানে উর্ধ্বে চেয়ে,
   ও কিন্তু বলত শুনে, তার চেয়ে বরং তারা গুনে রাতের বেলায় বলবে আমায় একলা বিজনে পেলে,
কারণ নাকি আমি তখনও তৈরি হইনি পরের জন্য দিনের আলোয় সমস্যা বুঝে,
সবার সাথে এক সূত্রে পা মিলিয়ে একত্রে চলে।