অধীনত যন্ত্র
অরুণ কারফা


সে বলেছিল,
        পয়সা থাকলে বিনিময়ে তার, কিনতে পারত সুরবাহার
আর নাহলে নিদেন পক্ষে, ভিক্ষে করে দ্বোরে দ্বোরে
কিনে ফেলত একটা হলেও বাঁশি সস্তার।


তারপরে কাউকে ধরে
প্রয়োজনে ধমক দিয়ে জোর করে
তাকে দিয়ে বাজিয়ে নিত মধ্য রাতে ভর দুপুরের সুর,
       কারণ, সবার মাঝে নিজেকে রেখে
তবুও সবার থেকে
সে হারিয়ে যেতে চায় অনেক দূর।
            
    আমি বললাম,
তা কেন,
            বিন পয়সার জ্যোৎস্নার বান
শোনায় যে অশ্রুত গান  
আমাদের সৃষ্ট রাগ রাগিনীর  চেয়েও তার অনেক উঁচুতে স্থান,
          নীর্জনে বসে এক নিঃশ্বাসে করলেই পারো তার সুরা পান।


আত্মকেন্দ্রিক বলল তখন আত্মরক্ষার্থে:
না না, বাদ্যযন্ত্র নিজের হওয়ায়
যা বলতাম শুনতে বাধ্য হতো,
আর তাই ,
       বজায় থাকত আধিপত্য ;


বিরক্ত হয়েই বললাম এবার:
বুঝতে পারছো না কোথায় হচ্ছে ভ্রম
নজরদারী সৃজনশীলতার যম,
---মুক্তির স্বাদ থেকে বঞ্চিত যন্ত্র
        সুরেলা হলেও হলে অধীনত
পারে না গড়তে সুরের সম্ভার
      এমনই ইচ্ছা প্রকৃতি মাতার। ।