কুহেলিকে সেদিন বলেছিলাম
ঢের রাগ হয়েছে তোমার
অকারণে আমার বাড়া ভাতে জল ঢেলে দিচ্ছ
অযথা চিমটি কেটে দাগ বসিয়েছ
বলি
এত রাগ কেন তোমার ।
প্রথম যেদিন দেখেছিলাম তোমায়
কোমল নিষ্পাপ বদন খানিতে পেয়েছিলাম
বিশাল প্রশান্তির অনুভুতি
তোমার অপলক চোখের চাহনি
ভাবনার জগতকে উম্মোচিত করেছিল
ভালবাসতে শিখেছিলাম আমি
সেই ভালোবাসার মায়াজালে জড়িয়ে আছি আজ অবধি।
ইদানিং তোমার নিত্য দিনের সঙ্গ হয়েছে রাগটা
বিস্বাদে ভরা মন তোমার
প্রণয়ের আগে দেখা স্বপ্ন গুলো কি পূরণ হয়নি
ভালবাসার পরশ কি তোমায় ছুয়ে যায়নি
গভীর প্রেমেতো মাতিয়েছিলাম তোমার সারা বেলা
্বিষন্ন ভরদুপুর ও ক্লান্তির সন্ধ্যাবেলাটাও কষ্টে কাটতে দেয়নি
অশূভ ছায়াগুলোকে সরিয়েছি বীরের দর্পে
বলি
এত রাগ কিসের তোমার
যখন সৈকতে হাতে হাত রেখে
জলরাশির ঐ বিশালতায় ডুবে অবগাহন করতাম
দক্ষিণা মাতাল হাওয়ায় উড়ানো আচলটা গুছিয়ে দিতাম
এলোমেলো চুলগুলো তুমি ইচ্ছে করে এলে দিতে
কেন জানি আড় চোখে চেয়ে দেখতে আমায়
আর সুবিশাল আকাশ পানে চেয়ে আনন্দ অশ্রু ঝরাতে।
আজ রক্তচক্ষু রাঙ্গিয়ে স্বর উচু করো বারেবার।
একদিন মনে আছে তোমার
পাহাড়ের পাদদেশে উচ্ছল ঝর্নার ধারে বসে
জলধারার মেলোডিক শব্দের তালে
গুন গুনিয়ে গাইতে তুমি আর আমি
ন্বপ্নের  স্রোাতে ভেসে ডানা মেলে উড়তাম আকাশে
দেবদারুর ডালে বসা চাতকী লাজুক হয়ে চাইতো ফ্যাকাশে।
সে বিরহ আজ ভর করেছে আমায় ।