আমার আকাশটা উজাড় করে দেবো
যদি নিতে পারো সবটুকু
দৃষ্টির সীমা যতটুুকু ছড়িয়ে দিলে
রেখা টেনে দিও অপলক চোখে
সেখানে চলবে নক্ষত্রের মিতালী
আঁধারের কোলে ছোপ ছোপ আলো জ্বলে
তোমার চলমান পৃথিবী
থেকে থেকে মৃদু কেঁপে উঠে
পলকহীন চোখে ক্লান্তি নামে যদি
ক'ফোটা অশ্রু বিসর্জন দিও।
বাতাসটা ভারী হয়ে যাবে
যদি কান্নার শোর পড়ে যায়
মিনতি তোমায় আমি আছি দূরে
তোমারই দৃষ্টির সীমানায়
প্রখর সূর্যালোকে তুমি
যদি যাচো প্রশান্তির ছায়া
মেঘ হয়ে উড়ে যাবো
আবাবিল পাখির মতন
খুঁজে নিও তুমি যদি
তবে পেতে চাও মায়া।
কষ্টের প্রহর গুনে রাত না পোহালে
যদি অবসাদে নুয়ে পড়ো
তবে চেয়ে দেখো
আমি ভোরের রবি হয়ে
তোমার তৃষিত আকাশটা রাঙ্গাবো
বর্ণালী বিভায় শোভিত মানসে
তুমি সজীবতা খুঁজে নিও
আমার এ আকাশটা শুধু তোমার।
ডানা ঝাপটানো পাখি হয়ে যদি
মুক্তির সমীরণে দোলা দিতে চাও
তবে বাঁধা নেই, দ্বিধা নেই
যত খুশি তুমি হালকা হও
অবারিত করো তোমার অন্তর
আমার অকাশটা তো বিস্তর।
কখনোবা যদি জলকণার প্রেমে পড়ে যাও
ভেবে নিও আসবো বৃষ্টি হয়ে নির্ঝর
তৃষিত শরীর তোমার
যদি ভিজে হতে চাও সরোবর
তবে আমার জলে তুমি জলকেলি করো
জলে জলে একাকার  হয়ে
অশুচি মনটা করো অবারিত অপার।
নয়তো আবারো তুমি
প্রখরতায় উবে গিয়ে
উড়ে যাবে দৃষ্টি হতে দূরে
আমার বিশাল আকাশটায়।