বগুড়া আঞ্চলিক ভাষায় লেখার চেষ্টা করেছি


মুরগীর ডাক শুনে হামার নিন ভাঙ্গে যেতো
আহা শীতের সকাল উঠানে গাও গরম করা কি ওদ
আর মুজু দাদার দুতলা মুরগীর ঘরগুলো কি সুন্দর;
মুজু দাদা নিনুত থেকে উঠে ফজরের নামাজ পরে,
মুরগীগুলোক খাবার দিত, কত ডিম; সালা বুড়ে একশত
পাঁচ বছর বেচেছিল ,বই পড়া খুব সখছিল- কত স্মৃতি কথা
আছে সারাদিন লেখলও শেষ হবারলয়।


ঢাকা থেকে ইত্তেফাক পত্রিকা, ঢাকা ডাইজেস্ট মাসিক
পত্রিকা নিত, হামাক এনা হাসপাতালে যাতে বলত
ডাক্তার মুখলেছুর সাহেব কাছে ঢাকা ডাইজেস্ট পত্রিকা
দিয়ে আছতে, হামী যাতাম; সালা বুড়ের গারের রক সব
সময় তেরাছিল, ইংলিশে ওনরগল কথা বলতে পারত।


হামাক খালি কত পড়েক পড়েক- একদিন ইংলিশ বই
নিয়ে গেছি, হামী ত ইংলিশ কিছুই পায় না কি কতে কি কইছি আর
এমনি দিল কান ডলা; সালা বুড়ের কপাল ভাল পেছিল একটা বউ
এত আদর করত- উঙ্কে বউ হামরা যদি পাতাম জীবন শাহীন করতে পারতাম;
সালা মুজু দাদার মতো হতে পারলাম না উঙ্কে বউ পালেম না
ঢাকার বুড়িগঙ্গায় ভাসে গেলো জীবন হামার।


০৫ আশ্বিন ১৪২৬, ২০ সেপ্টেম্বর ২০
---------------------------------