স্বাধীনতা আমার- রক্ত ঝরা কণ্ঠে
বিদ্রোহ মাঝে- অগ্নিবীণা বিষেরবাঁশী।
স্বাধীনতা আমার- সবুজ অরণ্য ছোঁয়া
‘তাল গাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে সব গাছ
ছাড়িয়ে- উঁকি মারে আকাশে-মনের স্বাদ
কালো মেঘ উড়ে যায় আকাশে’ বাতাসে।
স্বাধীনতা আমার-নীল আকাশের সাদা মেঘ
দেখা- মুক্ত বাতাসে ঐ আইল পাথারের
সবুজ ঘাষের স্পর্শ লাগা- বটের ছায়ায়
রাখালের মৃদূ সুরে- বাঁশির তুলা সুর।


আমার স্বাধীনতা- স্বাধীনতা- তুমি আজো
আসমানিদের ক্ষুধার্ত মুখের- আর্তনাদ বয়
মৌলিক আধিকারে বৈসাম্যতা কেন হয়?
মুক্তির রঙ লেগে আছে-সবুজ পাতায় পাতায়
ঐ যে ঐ লাল সূর্যের মধ্যস্থতায় স্বাধীনতা-
স্বাধীনতা- কি মুখে বলা? কাজে ব্যস্তবতা নাই।
আর ক্ষমতার দাপট যেন ঠোঁট ঝঁঝাল দম্ভ-
চায়ের আড্ডা নষ্ট হলো- সন্ধ্যা বেলায় খর্ব
কোথায় হারালো? লাখ শহীদের হৃদয়ে আঁকানো
এক রঙ্গিন দুলানো স্বপ্ন- স্বাধীনতার জন্য তারা
ঝর্ণা ধারার মত রক্ত ঝরাল- হে স্বাধীনতা-


এখনো তোমার পিচঢালা পথে পায়নি পরিপূর্ণতা
তাদের কেন? চিন্তা বুঝ শক্তির নাই উপলদ্ধিতা।


এ আইল পাথারের অশ্রু ভরা জল করে ঝল ঝল-
স্বাধীনতা তুমি- লোভি পশুদের ঠোঁট রাঙ্গান ছল
স্বাধীনতার জন্য আবার করতে চাই রক্তে লাল।
ঐ সূর্য- এ গোধলীর সাদা চন্দ্র আর উজ্জ্বল
তারা দেখে দেখে হও সিক্ত- হে স্বাধীনতা- দুখি
মানুষের মুখ ভরা হাসি-বসন্ত ফাল্গুনের ফুল ফুটুক
বৈশাখের ধূলিমাখা জামা যেন আমার স্বাধীনতা।


লেখার তারিখঃ ০৫/০৩/১৩
--------------------------