<><><><><><><><><><><><>


আমি যখন অবুঝ ছিলাম,এ বাংলার পিঠে।
তখন কথা বলার ছিল না অপরূপ সুন্দর;
বুক পিঠে দাঁড়ালাম আর হাঁটলাম হাঁটলাম
সু-দীর্ঘ দেখি সোনালী শস্যশ্যামল সঞ্চয়ী মাঠ;
নিঃশ্বাসে বিশ্বাসে এক সরগম বাজে উঠল
ছয় ঋতুর গন্ধ স্বাদের ফুটন্ত চন্দ্রপ্রভা রূপ।
কোখন যে বুঝে উঠলাম বসন্ত ফাল্গুল,
অঙ্কুরত কচি পাতা,ফুলের কচি কচি কলি
শুধু দুল খেয়ে যায়, দেহের চারি পাশে
মন মাতানো মৌলতার কি যে হাওয়া?
সমুদ্রসৈকতে অসময়ে মগ্ন জোয়ার ভাটা।


কখন যে বুঝে উঠলাম বসন্ত ফাল্গুনের
সৌন্দর্য যেন আর পুলকিত হতে লাগল-
চির সবুজ অরণ্য আর উঁচুনিচু চা বাগান;
দোয়েল,শালিক,ময়নার বায়ু তরঙ্গ গান
বিমুগ্ধ হৃদয়, চোখ রাঙানো সে ভান।
হঠাৎ দেখ বর্ষার কি?,ব্যাঙ ডাকা বান;
চারিধারে থৈ থৈ জল, জলে ভাসে ঘর
স্রোতে ভাঙ্গে রে কত না স্হল; তবুও
অপরূপ তোমার বহুরূপি বুঝে না ছল।

সোনালী শস্য ভরা নবান্নের সাজ,তাই তো
তোমায় বলে শুধু সকল দেশের রাণী,
আমার গাঁয়ের রাখালি সুর তালের বধূ;
আর মায়ের  আঁচল জুড়ে স্বর্গসুগের
শীতের উঠান কোণে মিষ্টি রোদের
ঝিলিমিলি করে বর; শেষটা কোথায়
বুঝে না কেউ-রূপেরটা তার দু’কূল ধর
সে যে এক রূপের রাণী বাংলা মোর ।


লেখার তারিকঃ ২০/০৩/১৪
===============