<><><><><><><><><><>
হেমন্তের কতো না নবান্ন ফুঁরালো ঐখানে,
বসন্ত বাহার শুধু রয়ে গেলো গগন ভূমি তরে;
এ দু’চোখের মধ্যমনি গভীর অতল অসঙ্গ-
আলতা রাঙা ঐ নূপুর পায়ে নিত্য দিনে
তারার আঙ্গীনা জুড়ে নাচছিল নাচ অসমতল;
আপাতমধুর দৃষ্টির পাতে এক ঘন স্পর্শকৃত-
প্রেমকণ্ঠ ঠোঁটের আঁচড়ে আকুতি মিনতি,
জাগ্রত ধ্বনির ভাষা একটাই বলে উঠলো;
এতো! কেন আবহেলা ঘৃণায় তুল ঢেউ?
তোতো ক্ষণ মুখমন্ডল যেন লাল হলুদ
আপেলের মতো টকটাক হাবভাব।
কম্পিত দেহতে শুধু এক আগ্নেপাত আগুন-
প্রেমময় কৃষ্ণচূড়াবাণী ‘বামন হয়ে চাঁদের পানে হাত’
অস্থির উত্তল ধরণীর বুকে ঝড় উঠলো ঝড়;
ঝড়ের মাঝে ঝরে গেল রক্তনোনা লাল পাঁপড়ি,
ভূমিকম্পের স্রোত কাঁপে,ঝাঁঝাল ভরা উচ্ছ্বাস।
আনন্দবহ বসন্ত তোমার ফাগ্লুন ফুটা হাসি
দুঃখসহ স্মৃতিময় চিরকাল কণ্ঠতে ফাঁসি;
উচ্ছ্বাস আমার বাতাস হল, গায়ে দিয়ে রঙের ফু,
মরে গেল মনোরথ, মরে গেল মনোরথ-
দেখলো না পূর্ণিমা ঝরা চাঁদের আলোকিত সুখ।



লেখার তারিখঃ ২৫/০৫/১৪
==============