কবি কোন কবিতা প্রথম যখন কোন খাতায় বা কাগজে লিখেন, ওই অবস্থায় সেটা (সেই লেখার শ্রী) দেখলে লিখিত প্রতিটি শব্দ আর অক্ষরগুলোর জন্য যে কারো মায়া হতে পারে, এত বিপর্যস্ত থাকে বেশিরভাগ লেখাই।
অথচ, ওই কবিতায় কবির কত মায়া ফুটে ওঠে, তাতে থাকে মুগ্ধতা, মোহনীয়তা, ভাবালুতা, অথবা ক্ষুধা দারিদ্র কিংবা ক্ষোভ এমনকি প্রেম, কাম, ঐশ্বর্য্য আর আরাম আয়েশের কথাও । বাদ পড়েনা বিদ্রোহ অথবা চাপা-যন্ত্রণার কান্না, পরাজিত অথবা যুদ্ধাহত সৈনিকের প্রতি দরদ, গভীর রাতে একলা যুবতীর বাড়ি ফেরার কথা আর কেউ কেউ তো রীতিমত নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় উজাড় হয়ে যান কবিতায়।
কবি যে ভাষায়ই লেখেন না কেন, যে বিষয় নিয়েই লিখেন না কেন, হোক সে নিজের, একান্ত নিজের অথবা নিতান্তই অন্য কারো কথা। তাতে সব কথা অন্যকারো ব্যাপার হলেও নিজের বলে যেটা থাকে সেটা হলো--
ওই বিষয় সম্পর্কে তার একান্ত অনুভূতি, চিন্তাধারা, মুল্যায়ন, ব্যাক্তিগত আবেগ সর্বোপরি তার রচনাশৈলি আর বাচনভঙ্গি ।
আর এখানেই তার আমিত্ব বা কবিত্ব ।