অপরিচিত এক বালকের অপূর্ণ গল্পতে ভরা কী অপরুপ সাধ,তবে শেষটায় যেন মিশে আছে প্রবল বিষাদ।
সবুজ ঘাসে ভরা রিক্ত এক মাঠ,
মাঠের চারিদিকে দুলছে দোলনার ক্লান্ত হারা দুলুনি।
পুরো মাঠের আনাচে কানাচে বইছে অনুপম সুবাস,
সুবাসের এই বাতাসের সহিত যেন ছুটে আসে কী! কোমল এক অজানা সুর, অব্যক্ত এই সুরের প্রতিটি পদে যেন লুকিয়ে আছে কী অপরুপ মায়া।
এই মায়ার সাগরে যেন ভেসে উঠছে পাখিদের কোলাহল,যেন ভেসে উঠছে ফাগুনের মধুমাখা
হাওয়া।
অজানা সুরের দিকে  চাহনির  পরক্ষনে মনে হলো যেন চোখ পেয়েছে তার স্বার্থকতার সংজ্ঞা, হৃদয় পেল তাহার স্ব রূপ।


তাহার কাজলে মাখা চোখগুলো যেন  অনবরত মেখে যাচ্ছে সৌন্দর্যের অবলিলায়, এই চোখের বর্ণনা দিতে প্রয়োজন হবে নতুন শব্দ সংযোগ  অভিধানের পাতায়।


বালকের অন্তঃকরণে শুরু হলো সিক্ত এক কম্পন।
এ যেন স্বর্গ দারের সুচারু এক অবলা।
অবলার পানে চেয়ে থাকতে থাকতে যদি কেটে যায়
সহস্র নির্ঘুম রজনী,সহস্র অপুর্ব পুর্ণিমা, তবুও যেন উপমাহীন।
সহসা নিখোঁজ সেই অনবদ্য সুরের রমণী ।
এতো নিরেট কল্পনার শক্তি এতো হীন!
কোথায় নিখোঁজ এত অনুভূতিতে ঘেরা আকাশ কুসুম রচনা।
শুরু হলো অশ্রু ত্যগের কষ্ট,কান্না যেন বলছে আমাকে মুক্তি দাও তুমি,আমি চাইনা এই রিক্ত অনুভূতিতে ঘেরা খাঁচা, তবুও যেন অঝোরে বইছে জল।
নিখোজ এই বিজ্ঞপ্তিতে কেন হলো এই সমাপ্তি?
সমাপ্তি আজ বড় ক্লান্ত এই অপূর্ণতার সহচরে।
বালকটি আজ ও   অনবরত  তাকিয়ে আছে এই অবলার পথপানে  , সর্বদা যেন এই শহরে  হচ্ছে লিখিত কত শত মনুষ্যের উপখ্যান নিয়ে।