ফুলের রুপে আমি যখন হারিয়ে যাবার মত,
কৃতজ্ঞতায় খোদার সামনে মাথা করলাম নত।
সুবাস তাহার জানাল মোরে তোমার গুণগান,
আল্লাহ তুমি কত মেহেরবান, ওগো তুমি কত মেহেরবান।
ডালে ডালে ফলের থোকা সাজালে নিপুণ ছোঁয়ায়,
তাহার স্বাদের মধ্যে আমি খুঁজে পেলাম তোমায়।
নীল আকাশের রাজ্যে ওড়ে শুভ্র মেঘের দল,
তোমার শক্তি অসীম প্রভু, অসীম তোমার বল।
ঈদের আগে দাও আকাশে একফালি একচাঁদ,
নতুন চাঁদের হাসি সেদিন ভাঙায় খুশির বাঁধ।
দূর আকাশে রাতের তারা করে ঝিকিমিকি,
জোনাক জ্বালায় সাঁঝের বেলা আলো ধিকিধিকি।
তুমি একধারেতে ঝিরঝিরিয়ে বৃষ্টি করো দান,
আরেকধারে দাও গো তুমি রৌদ্র দীপ্তিমান।
তোমার দয়ায় ডিম ও দুধে এলো এতো পুষ্টি,
তোমার প্রভু অশেষ কৃপা, নিপুণ তোমার সৃষ্টি।
মাটির উপর বিছিয়ে দিলে সবুজ ঘাসের চাদর,
দূর অজানায় ছড়িয়ে দিলে সাগর- মহাসাগর।
বন- বনানী ভরালে তুমি বৃক্ষলতা দিয়ে,
কোথাও দিলে মরীচিকা হাজার মাইল নিয়ে।
সকাল বেলার সূর্যে তুমি দিলে কোমল রোদ,
সোনাঝরা তাহার হাসি জাগায় তোমার বোধ।
দুপুরবেলার সূর্যে দিলে চোখ ধাঁধানো আলো,
তোমার প্রভু অসীম হেকমত, তুমি যা চাও ভালো।
সন্ধ্যাবেলা দেখাও তুমি ডুবন্ত লাল সূর্য,
তোমার প্রভু অসীম কুদরত,অসীম তোমার ধৈর্য।
পাহাড় চিরে বইয়ে দিলে শীতল পানির ঝরণা,
কুলকুলিয়ে বন্দনা গায় আর কিছু সে বোঝেইনা।
ভোরবেলাতে পাখিরা সব বেরোয় খালিপেটে,
সাঁঝের বেলা ফেরাও তাদের খাইয়ে মন্ডা- মিঠে।
মৌমাছিরে শেখালে তুমি মধু আনার কাজ,
সাগর-নদী ভরেই দিলে মজার মজার মাছ।
উঁচু উঁচু পাহাড় থেকে নামালে বিশাল জলপ্রপাত,
রাত কাটিয়ে দাও গো তুমি দৃষ্টিনন্দন নীলপ্রভাত।
শিল্পীর ঐ রং দিয়ে তো আমিও শিখেছি আঁকা,
কিন্তু তোমার রংধনুতে কি যেন এক আজব যাদুমাখা।
সাতরঙের ঐ রংমেলাতে হারিয়ে গেলাম আমি,
তুমি কত নিপুণ সত্ত্বা ওগো জগত -স্বামী!!!