সুনীল ঐ আকাশে ইয়া বড় সাদা সাদা মেলার হাওয়াই মিঠাই উড়ে উড়ে যাচ্ছে।
প্রকৃতির অভিরাম সবুজ গালিচায় তুমি লাল শাড়ী পড়ে বসে আছো আমার হাতটি ধরে।
এ যেন আমার একটুকরো বাংলাদেশ।
সোনালী সূর্যের রোদ শুভ্র মেঘে প্রতিফলিত হয়ে ঠিকরে বেরুচ্ছে যেন শতসহস্র বছরের ঝিলমিল স্বর্ণমুদ্রা।
তুমি হেসে দিলে যেন হেসে উঠছে প্রকৃতি।
ফুরোয়নি এখনো আম,লিচু-কাঁঠালের ঘ্রাণ।
ফুলে-ফলে গুনগুন মৌমাছিদের গান।
এই নীল আকাশের ভীড়ে হঠাৎ মেঘমালার আনাগোনা।
তোমার তপ্ত নিঃশ্বাস আমায় জোগায় উদ্দীপনা।
হঠাৎ বৃষ্টি শ্রাবণমুখর রিমঝিম রিমঝিম সুর।
নদীর বুকে ছলছল বর্ষার আকুতি।
তুমি আর আমি দৌড়ে কুঁড়েঘরে ঢুকে বিছানায়।
তোমার এ রূপের অগ্নি আমার এ মোমের মতো নরম  দিল গলিয়ে দিচ্ছে।
বলো,  কখনো  ভেবেছো এই সুন্দর দিনে বাদলা হাওয়ায়  বৃষ্টির ছন্দে সবুজের গালিচায় তুমি আর আমি একটি ছোট্ট কুঁড়েঘরে মিলিত হবো!
তুমি আমায় ধরা দেবে!
আমার তোমার এ মধুময়ী দিবা, এ অমৃতময়ী সুখ,এ মোহনীয় দৃশ্য!
কখনো না হোক এর অন্ত।
এরি জন্যে হয়তো বসুধার জন্ম।
এরি জন্যে কোটি হৃদয়ের তপস্যা।
চাই না এ কাল নিঃশেষ হোক কখনো।
তুমি আমার বুকে একে দাও জল্পনা।
এ তো জান্নাত, এ তো স্বর্গ, এ তো হ্যাভেন!
তুমি জান্নাতি হুর, আমি তোমার প্রেমে নেশাগ্রস্ত!
এ সূর্য থেকে যাক না!
তাতে কি! নাই বা গেল অস্ত!