বাংলার এক গন্ডগ্রামের
               চাষার ছেলে আমি
উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে
                এলেম রাজধানী।
ভর্তি হলাম বিশ্ববিদ্যালয়
                খুশি আমার পিতৃ আলয়
উচ্চ শিক্ষিত হবেই ছেলে
                পিতা আশায় বছর গোনে।
হলের একটি আসন পেতে
                ভিড়ে গেলাম রাজনীতিতে
হাতে এল অনেক অস্ত্র
                আমায় দেখে অনেকেই ত্রস্ত।
টাকা কড়ির অভাব হলে
                অস্ত্র হাতে যাই যে চলে
দোকানী আর পথচারীকে
                ভয় দেখিয়ে সব নেই হাতিয়ে।
ক্যাম্পাসেতে লাগলে লড়াই
                বীরের বেশে ছুটে চলে যাই
সম্মুখ পানে যুদ্ধ করি
                 অস্ত্র থেকে গুলি ছুড়ি।
মারতে পারলে একটি ছেলে
                 বীর বনে যাই আমার দলে
সবাই আমায় সমীহ করে
                 নেতৃত্ব আমার ঘাড়ে পড়ে।
চাঁদাবাজি,টেন্ডারবাজি আর মুক্তপণ
                  সবই নিত্যকার কাজের মতন
সফলতায় এনে দেয় প্রচুর বিত্ত
                  লেখাপড়া-পাশ করা সবই তুচ্ছ।
দলে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারে
                   ভিন্ন মতাবলম্বীকে আনি তুলে
সুযোগ দেই না আত্নপক্ষ সমর্থনে
                   চরম শোধ নিয়ে নেই সন্তর্পণে।
সময়ের ব্যবধানে বাড়ে হিংস্রতা
                    গায়ে সেঁটে যায় ক্যাডারের তকমা
থাকি না কোন নিয়মের ছকে
                     উচ্ছৃঙ্খলতা ভর করে জীবনের'ক্ষেত্রে।
একদিন দলের অন্তঃদলীয় কোন্দলে
                     পুলিশ অস্ত্র সমেত গ্রেফতার করে
পরের দিনের সকল জাতীয় দৈনিকে
                      বড় বড় ছবি ছাপা হয় অস্ত্র হাতে,
ক্যাপশনে লেখা হয় '---বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাডার
                      অস্ত্র,গুলি আর মাদক সহ গ্রেফতার।'
কেউ আসে না আগের মত ছাড়িয়ে নিতে
                      যারা ছিল শুভার্থী তারা সবাই মিছে,
বুঝে নেই ফুরিয়েছে আমার প্রয়োজন
                      দলে আজ আমি অপাংক্তেয় একজন
এ যেন এক অনিবার্য নিয়তির খেলা
                      পড়তেই হবে হঠাৎ উপরে উঠেছে যারা।