তেল চিটচিটে আঁষ্টে গন্ধযুক্ত                            
                            পোশাক ছেড়ে
বৈদ্যুতিক ইস্ত্রিতে ভাঁজ তোলা
    খদ্দরের পাঞ্জাবী-পাজামা পরে,
চোখে পুরু লেন্সের চশমা-
    ছানি কেটে দৃষ্টি ফেরানোর উজ্জ্বল সাক্ষী,
বাম হাতে বুড়ো সিকো ফাইব ঘড়ি-
    দম দিয়ে সচলে নির্ভুল সময় প্রদর্শন ,
পায়ে পট্টি মারা একজোড়া চটিকা-
                           দারিদ্রতার নগ্ন প্রকাশ
বুক পকেটে একটি সচল ঝরনা কলম
যেন গ্রাম্য খোলস পাল্টে শহুরে বাবু সাজার
                                       সচেতন চেষ্টা।


বামহাতে বুকেচেপে ধরা  সরকারী করুণা প্রাপ্তির(!)
                                      ফেকাসে মলিন ফাইল
যথাসম্ভব বয়সের ভারের বঙ্খুরতা কাটিয়ে ঋজু ভঙ্গিতে
                           ফুটপাত ধরে হাটছি আর দেখছি,
                                             হাটছি আর দেখছি।


লোকজন আজকাল সময়ের চেয়ে দ্রুত বেগে
                                         ঊর্ধ্বাশ্বাসে ছুটছে
কেউ কাউকে দেখার তাগিদটুকুও অনুভব করে না,  
নিজেকে মনে হয় রাজধানীর এক অনাহূত আগন্তুক,
শহুরে আদব-কায়দায় আমি ধাতস্থ নই
শঙ্কিত কখন কোন আদবের খেলাপ হয়ে যায়।


বড় স্যারের ডাকের আশায় বিশ্রামাগারে বসে
যেন মনে হচ্ছে এক অনন্তকালের অপেক্ষা,
এভাবে অলস সময় ক্ষেপণে তন্দ্রাভাব এসে যায়
ক্ষণে ক্ষণে নিজেকে সামলে নিয়ে-  
পিয়ন মহোদয়কে তাগিদ দেয়ায় ,আদবের খেলাপ স্বরূপ-
‘ বসেন মিয়া, স্যার জরুরী মিটিং এ আছে’- ধরনের মৃদু ধমক।


                                                          
                                                            ---------চলবে