হে ধরনী!
তুলে নাও তোমার নিষ্ঠুর কাটা তারের বেড়া।
আর কত ফেলানী ঝুলবে লাশ হয়ে বিচার ছাড়া?
ওরা নিতান্ত  সাধারন। ক্ষুধার  জালায় বোঝেনা বৈষম্যের সীমানা।
ওদের কাছে সারা  ধরনী এক। বোঝে কেবল বাচার উন্মাদনা।


হে ধরনী!
ওরা বোঝেনা কোন সরকার, কোন রাজনীতি, বোঝেনা কোন দেশ।
শুধু জানে বাচতে হবে। চাই এক মুঠো খাবার শেষ মেষ।
জীবন ধারণের লাগি চাই এক মূঠো খাবার এক বেলা।
খেতে গিয়ে  যদি বুলেট খেয়ে মেটে জন্মান্তরের ক্ষুধা। এই কি তার  বদলা?


হে ধরণী!
লজ্জা পাওনা তুমি?  কম্পন ওঠেনা তোমার বুকে?
নাকি এ তোমার পক্ষপাতিত্ব।  জবাব দাও সারা বিশ্ব সমুখে।
হে ধরণী মা। হে ধরিত্রী র বিধাতা। এই সব খুঁটে খাওয়াদের তুমি তুলে নাও।
তবু এভাবে চায় না মরতে। বাচালে  ইজ্জত দিয়ে  বাঁচাও।


আমরা বিধাতার সৃষ্টি।  ধরণীর পালিত সন্তান।
তোমরা আজ বৈষম্যের বেড়া তুলে বলছ এদেশ আমার, সাবধান!
শোন হে দেশ ওয়ালারা! ওই আসমান কে কি  করতে পারবে ভাগ তোমরা সকলে  মিলে?
যদি পার তবে সূর্যের আলোকে?  বহমান বাতাস, বা স্রোত কে ?অথবা মেঘ বৃষ্টি?
কিংবা শীত, গ্রীষ্ম ,বর্ষা কে?  তবে কেন করেছ কাটাতারের সৃষ্টি?


তুলে নাও ঐ ঘাতক দেয়াল। তুলে নাও ঐ কাটাতারের ফাসি।
বলব সমস্বরে, "এ বিশ্ব আমাদের, আমরা বিশ্ব বাসি।