শোণিত বহা রনাঙ্গণে, রক্তে রন্জিত প্রান্তরে,
মুহুর্তের তরে জাগে না ভয়, এমন কোন বীর অন্তরে?
ভয় জয়ী যে অটল পায়ে শত্রু নিধনে কুশলী হস্ত,
তারেই তো সবাই গর্বে বলে,তুমিই মোদের বীর মস্ত।


কিন্তু সেদিন শোনালো একি, রক্ত শংকুল ঐ ময়দান!
পাহাড়ের ওপাশ হতে পাচ্ছি আমি,জান্নাতেরই ঘ্রাণ।
বলতে বলতে ঢুকে গেল বীর, শত্রু যেথায় পাহাড় পাদে।
শত তীর,বর্ষা, তরবারি আঘাত, তবুও থামেনা হাত,যতক্ষণ বাধে।
একাই শত শত্রু শেষে, লুটিয়ে পড়ল বিশ্ব ভূমে।


নিশ্চয় ধরণী সেদিন চুপে চুপে দিয়েছিল বুঝি তার পদ চুমে।
হয়তো বলেছিল কানে, ধন্য করলে আমায়, সৃষ্ট তুমি মাটির হয়ে।
তোমার রক্ত আমি বক্ষস্থলে রেখে দেব,যেতে তারে দেবনা ক্ষয়ে।
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রই। চোখ হতে গড়ায় জল।
হে বীর! কি এমন পেলে তুমি? কোন সে তোমার মন্ত্রবল?
মৃত্যু বরণে এত ব্যকুলতা কোথায় তুমি পেলে শুনি!
আরাম আয়েশ সকলি ছেড়ে গিয়েছ কোথায়, কোন ঘর বুনি?
শোনাও আমায় কিসের আশে গেলে সকল বন্ধন ছাড়ি?
আমারও খুব ইচ্ছা হয়। তব সাথে যদি দিতাম পাড়ি!


(পাদ টিকা : বদরের যুদ্ধে মুসলমানদের শহীদ হবার ব্যাকুলতা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। )