মানুষের পাপে, ধরনী কাঁপে
টলেমলে আত্মার অভিশাপে।
শুনেছি নাকি,
তোমরা তারে বলো ভূ কম্প।
আমি বলি এ পাপের লম্প ঝম্প।


অভাগীর অশ্রু জল ,সমুদ্র টলমল
ধেয়ে আসে কলকল।
শুনেছি নাকি,
তোমরা তারে বলো বন্যা।
আমি বলি এ অত্যাচারের কান্না।


দূর্বলের প্রতিশোধ, অব্যক্ত ক্রোধ
বুকের পিঞ্জরে নিরবে হয় বধ্।
শুনেছি নাকি,
তোমরা যারে বলো খরা।
আমি বলি এ হৃদয়ের ধুঁকে মরা।


অসহায় 'র ব্যথা, পাষাণে গাথা
কেউ জানেনা গিয়েছে কোথা!
শুনেছি নাকি,
তোমরা তারে বলো হিমবাহ।
আমি বলি জমানো হৃদয় দাহ।


আর্তের চিৎকার, শোনে কে আর
মিশে গেছে সব তার।
শুনেছি নাকি,
তোমরা তারে বলো বজ্রনাদ।
আমি বলি এ আত্মার ফরিয়াদ।


ছোট ছোট প্রতিবাদ, ভাঙে না বৈষম্য বাধ্।
তবু পরিবর্তনের আজন্ম সাধ।
শুনেছি নাকি,
তোমরা যারে দেখ ঘুর্ণিঝড়।
আমি শুনি ঐ বিদ্রোহের কড়মড়।


রক্ত ঘামের দাম কৌশলে তামাম
লুটিয়ে কামিয়েছ আপনা নাম।
শুনেছি নাকি,
দেখ যার সন্তান বিকলাঙ্গ।
আমি দেখি পাপে পিতার ভগ্ন অঙ্গ।


ক্ষুধা সর্বগ্রাসী, ধনীর রাশি রাশি
ভুখার তেষ্টা কোথা গেছে সব ভাসি।
শুনেছি নাকি,
তোমরা বলো যারে রোগ ,বহুমূত্র।
আমি বলি এ মৃত ক্ষুধার্ত।