আমি এক রাজাকারের জানি সন্ধান,
তারে স্যালুট! আমার পক্ষ হতে তারে সম্মান।
অবিভাজ্য পাকিস্তানে সে ছিল স্বনামধন্য হাইকোর্টের ল'ইয়ার।
চায়নি এদেশর বিভাজন।তাই বোলে হয়েছিল রাজাকার।
তাই করেছিল সহায়তা, লুট,ধর্ষণ,হত্যা, অগ্নি সংযোগ।
মুক্তিযোদ্ধদের ধরিয়ে দিতে হানাদারদের সাথে করেছিল যোগাযোগ।
স্বাধীনতার উঠি উঠি সূর্যকে ঢেকে দিতে চেয়েছিল কালো মেঘে।


পারেনি, স্বাধীনতার বুক ফুঁড়ে বাংলাদেশ উঠেছে ঠিক জেগে।


আমি প্রচন্ড ঘৃণা করি সকল রাজাকার ও ঐ রাজাকারকে যাকে চিনি।
সকলের করা দরকার, যারা বোঝে মুক্তিযুদ্ধও মুক্তযোদ্ধার কাছে সে ঋনি।
মনে হয় দুমড়ে মুঁচড়ে ছুড়ে ফেলে দিই এদেশের সীমানার বাইরে।
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দেই, এমনকি উড়িয়ে দিই অবশিষ্ট ছাইরে।


শুধু করিনা একটি কারনে ঐ রাজাকারকে ,যেদিন এদেশ হল স্বাধীন।
সেই হতে করেনি চাকরি কোন,যায়নি কোর্টে ,এমনকি বাজারে এতদিন।
স্বাধীন বাংলা হতে, জিজিয়ার মত কর দিয়ে, চেয়ে নিয়েছে এতটুকু জমি।
যেখানে সে মরতে চাই, যা তার অনেক প্রিয় জন্ম স্থল, প্রিয় পিতৃভূমি।
এছাড়া স্বাধীন বংলাদেশ হতে বেঁচে থাকার নূন্যতম প্রয়োজন ছাড়া,
করেনি ভোগ সামান্য এতটুকু বা কোন নজর কাড়া ।
চায়নি কোন আলিশান বাড়ি  গাড়ি, সামাজিক অবস্থান, কোন অধিকার।
কারণ সে একজন ঈমানদার রাজাকার।
তারে বাংলার পক্ষ হতে তার প্রতি আমার সন্মান।
না!
কোন রাজাকারকে বাংলা দিতে পারেনা সন্মান। তারে করূণা, এ তার ঈমানদারীর দান।


আজ মহান সংসদে বিখ্যাত রাজাকার বাংলাদেশের কথা বলে।
গাড়িতে লাল সবুজ পতাকা দোলে,রাজপথে দেশপ্রেমের গর্জন তোলে।
হয়তো সেখানেই শুকিয়ে রয়েছে কোন মুক্তিযোদ্ধার রক্তের ধারা।
আমি লজ্জ্বা পায়, বড় লজ্জ্বা, এক সাধারণ হয়ে কি বলার আছে এছাড়া!
সংসদের ইট বালি চেয়ারও লজ্জা পায়।
রাজপথের পিচ পাথরও লজ্জা পেয়ে মুখ লুকাই।


শুধু লজ্জা নাই ঐ বেইমান রাজাকারদের, চোখেও পর্দা নেই কোন।
অনাকাঙ্খিত, জারজ সন্তানের ঘরে বসে, প্রতিদিন খায় তার অণ্ন।