নারী
আলী আমজাদ আল আজাদ


বহু যুগ ধরে, সহস্র শতাব্দীতে
আমি চলে ছিলাম এই পৃথিবীর পথে।
পাড়ি দিয়েছি অনেক পথ,শুধু নির্জনে একা,
প্রখর দৃষ্টিতে নয়ন খুলে,পাইনি কারো দেখা।
বন্দী কারাগারে, ক্লান্তির অবসরে-
মুক্তি মিলেনি,পাইনি সান্ত্বনা,কোন মনের ঘরে।


ঘুরেছি সাগর-নদী,পাহাড়-পর্বত,পুষ্প কাননে,
ইচ্ছে জাগেনি কোন কিছু পেতে এই মনে।
নিরর্থক হয়ে জীবনের অনেক বসন্ত হয়েছে যে পার,
বৃক্ষের পত্র ঝরেছে শুধু,পল্লব কভু গজায়নিকো আর।
মুক্ত বাগানে কাটিয়েছি জীবন,পাইনি শান্তির ছায়া,
উন্মুক্ত গগন তলে,তপ্ত রবির দহনে,পুড়েছিল সদা এই কায়া।


তবু চলেছিলাম শূন্য পথে, আকাশ-বাতাস ছিঁড়ি,
খুঁজে ছিলাম কি যেন, অতিক্রমিত পথে ফিরি ফিরি।


নিরাশার চিত্তে,ভূগর্ভের অন্ধ দেশে,যখন দিতে ছিলাম পাড়ি।
হঠাৎ দেখি,আড়াল থেকে হাত ছানি দিয়ে,কাছে ডাকলো,অপরূপা এক নারী।
দেখিলাম তারে,নয়ন জুড়ে,সে যে পরিপূর্ণ নব যৌবনার অধিকারীণী সদা,
সু-শ্রী,সু-দন্তী,সু-নয়না,সু-কেশী,শু-চিস্মিতা,কুমারী সে যে প্রিয়ংবদা।


তাহার নগ্ন হৃদয়ে,সন্ধির লগ্নে,মগ্ন হয়েছি প্রেমে,
মোর উন্মাদ হৃদয়,ভাসিলো জোয়ারে,রইলোনা আর থেমে।
চলেছি ভুবন মাঝে,স্বর্গের খোঁজে,জন্মে যেথায় সুখ,
মিলনের ডাকে,মিনতির স্বরে, তোলপাড় করে বুক।


‘সুখ কোথায় আর খেলনা ঘরে, তুচ্ছ বাড়ী-গাড়ী,
বুযেছি আজি,মিথ্যে হত সবি,যদি নাহি থাকিত নারী’।


সে যে সাজালো বাসর,চির শান্তির আসর, নিত্য নব মমতায়,
আঁকিলাম হৃদয়ে তাঁরই ছবি,রাখিলাম স্মৃতির পাতায়।
কামিনী হয়ে জড়ালো জীবনে, যামিনীতে হল কুমুদনাথ,
হৃদয় শিকলে, মায়ার বাঁধনে, বাঁধিলাম তাঁরে, হইয়া প্রাণনাথ।
আজ আমি শান্তির রাজা, শান্তি বিলাই প্রত্যেক মনের ঘরে,
বুঝিনিতো কভু, এত শান্তি দিয়েছেন প্রভু,এইনা ভুবন তরে।
ক্ষণিক জীবনে,ক্ষুদ্র পৃথিবীতে,কিসের এত আকাঙ্ক্ষার মহামারী,
সৃষ্টির হৃদয় সাগরে,বিন্দু এ পৃথিবী, আর সবটাই যে নারী।।